ফরিদপুরে গত ২৪ ঘন্টায় র্যাব ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৪৫ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৫৩ জন। গত শুক্রবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে র্যাব-৮ ফরিদপুরের তিন সদস্য এবং দুইজন স্বাস্থ্যকর্মীর। এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মীও রয়েছেন।
ফরিদপুরে নতুন করে যে ৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ১৬, ভাঙ্গায় ১৫, নগরকান্দায় ৯, সালথায় ২ এবং মধুখালী, চরভদ্রাসন ও সদরপুরে ১ জন করে। নতুন করে সনাক্তদের মধ্যে ১৪ জন নারী ও ৩১ জন পুরুষ।
ফরিদপুরে নতুন করে যে ৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ১ থেকে ২০ বছরের বয়সী রয়েছে ৫ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ১৩ জন, ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন।
ফরিদপুরের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ২৭৮জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৬৩ জনের। এর মধ্যে ফরিদপুরে পাঁচজন পুরনোসহ ৫০ জন, রাজবাড়ীর ২ জন এবং ফলোআপসহ গোপালগঞ্জের ১১ জন।
আজ শনিবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ৭৫৩ জনের মধ্যে ভাঙ্গায় ১৯৯ জন, ফরিদপুর সদরে ১৯৬ জন, বোয়ালমারীতে ১১২ জন, সদরপুরে ৫৩, চরভদ্রাসনে ৫২, নগরকান্দায় ৫৪ জন, আলফাডাঙ্গায় ৩৮, সালথায় ২৮ জন এবং মধুখালীতে ২১ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সালথা, সদরপুর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসনে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে যে ৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, আক্রান্তদের আপাতত বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাদের ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থনান্তর করা হবে।