বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুচক্রিদের পরামর্শে ছেলের বাড়ির সামনে কলেজ ছাত্রীর অনশন এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১০-০৩-২১) উপজেলার গৌরাঙ্গপুর এলাকায় সাজদার রহমানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐ ছাত্রী কথিত প্রেমিক আব্দুল্লার বাড়িতেই অবস্থান করছে বলে যানা গেছে।
বাড়ির মালিক সাজদার রহমান (আব্দুল্লার পিতা) জানান, আনুমানিক এক বছর আগে মেয়ের পরিবার থেকে আমার ছেলে আব্দুল্লার সাথে তাদের মেয়ের বিয়ের কথা বলে। এই প্রস্তাবে আমার ছেলে সহ পরিবারের কেউ রাজি না থাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার ছেলের সাথে তাদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে এমন কিছু বলেনি বা যানাযায়নি । হঠাৎ ১০ তারিখ বিকেলে মেয়ে তার আত্মিয় স্বজনদের সাথে এসে আমার বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। আমি মুরব্বি মানুষ বাড়িতে একা ছিলাম। এ সময় তাদের উগ্র আচরণ দেখে ভয় পেয়ে পাশের বাড়িতে চলে যায়। তখন থেকে ভিষন ভাবে ভিতির মধ্যে আছি।
প্রতিবেশী আব্দুল মালেক এই ঘটনার বিষয় এ বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মেয়ের সাথে সাংবাদিক (আক্তার রহমান) ও মেয়ের মামা (মিন্টু,জহুরুল), পিপুল সহ বেশ কিছু লোকজন এসে মেয়েকে বাড়ির পেছনের বেড়া ভেঙ্গে রেখে যায়। এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কি হতে পারে? এই বিষয়ে আখতারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভুক্তভোগী মন্তব্য কে অস্বীকার করেন এবং এই বিষয়ে যে নিউজ করেছে তার নামে আমি কেস করব বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আনুমানিক এক বছর আগে তার সাথে আমার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু পার্শ্ববর্তি মণিগ্রাম এলাকার জনৈক রাজু আমাকে জানায় লাবন্যর সাথে তার (রাজুর) প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং আমাকে বিয়ে করতে নিষেধ করে। এই কারনে আমার পরিবারের লোকজন তার সাথে বিয়ে দিতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এ খবর জানার পর মেয়ের পরিবারের লোকজনের ইন্ধনে ঐ মেয়ে আমার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে।
সরজমিনে গিয়ে রাজুর সাথে কলেজ ছাত্রীর প্রেমের বিষয় এর সত্যতা মিলেছে। তবে এ ঘটনায় সেনা সদস্য আব্দুল্লাহ’র পিতা ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনশনরত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কলেজ ছাত্রীর বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।