ফরিদপুর অফিস
ফরিদপুরে পুলিশের কার্যক্রম শুরু করতে সর্বস্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সোমবার বেলা ৩ টার সময় শোভাযাত্রাটি পুলিশ লাইনস থেকে বের হয়ে মুজিব সড়ক ঘুড়ে প্রথমে জনতা ব্যাংকের মোড়ে আসে। সেখান থেকে কোতয়ালী থানা ঘুরে আবার মুজিব সড়ক দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে যায়।
শোভাযাত্রাটির শুরুতে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগনকে সাথে পুলিশ একত্রে কাজ করতে চায়। তারই অংশ হিসেবে আজকের আমাদের শোভাযাত্রা। এখানে সর্বস্তরের জন ও জেলা পুলিশের সকল বিভাগের সদস্য এলানে আছে।
শোভাযাত্রায় দেখা যায়, শুরুতেই দেওয়া হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের। এর পরে মূল শোভাযাত্রায় রয়েছে কিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। শোভাযাত্রটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আসলে প্রেসক্লাব সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দীকির নেতৃত্বে জেলা পুলিশকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
এর আগে দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাখে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।
শোভাযাত্রায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইমদাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকম্ াকোতোয়ালি থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান, টিআই তুহিন লস্কর, বিএনপির এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, আফজাল হোসেন খান পলাম, জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমুখ।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোর্শেদ আলম বলেছেন, ‘গত ৫ আগস্ট পুলিশের প্রতি একটা নৃশংসতা চালানো হয়েছে। আমি মনে করি আন্দোলনকারীরা নয়, কারণ তারা সবাই ছাত্র, সবাই ভালো। তবে তাদের ভিতরে কিছু সহিংসতাকারী, কিছু দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ থানা, পুলিশ স্থাপনা, সরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। এতে বাংলাদেশের দুই লক্ষাধিক পুলিশ সদস্যদের ব্যপকভাবে মর্মাহত করেছে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ফরিদপুরে যে কয়টি থানা আছে সকল থানাতেই পুলিশের সেবা চলমান আছে। তারপরও আজকে সকল সেবাপ্রত্যাশীদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা বিগত দিনে যেভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন, আশা করছি আপনারা এখন থেকে আমাদের সেভাবেই সহযোগিতা করবেন। থানার সকল পুলিশ সদস্যরা আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছে। আপনারা যেকোনো সেবা নেওয়ার জন্য চলে আসবেন।’
মোর্শেদ আলম বলেন, ‘ কোনো অপরাধী হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও তাদের মন্দির, গির্জাসহ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি সম্পত্তি দখলসহ এসব কাজ যারা করেছেন ও করবেন তারা যে দলের আর যে মতেরই হোক না কেন প্রতিটি অপরাধীকেই আইনের আওতায় আনা হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।’