ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় দুই বোনকে দল বেধে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঐ দুই তরুণী বোনদ্বয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ যুবকদের আটক করা হয়।
বুধবার আটক পাঁচ যুবকসহ মোট ছয় যুবকের নাম উল্লেখ্য করে ভুক্তভোগী পৌরশহরের মহলবাড়ী গ্রামের কুদ্দুস আলীর স্ত্রী আশী মনি(১৯) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। সেই মামলায় আটক দেখিয়ে পাঁচ যুবককে ঠাকুরগাঁও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন মহলবাড়ী গ্রামের কুদ্দুস আলীর স্ত্রী আশা মনি ও তার আপন ছোট বোন পাশ্ববর্তী সন্দারই গ্রামের হানিফের মেয়ে জনৈক(১৫) ।
ঘটনাটির তদন্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত সোমবার দুপুর অনুমান তিনটায় কৌশলে মামলাকারীনীসহ তার আপন ছোট বোনকে পৌর শহরের সিডিএ অফিসের পাশে এক বাড়িতে নিয়ে হাত পা বেধে দলবেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। উপজেলার ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮)মহলবাড়ী গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে রুবেল (২৬), জতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী উপেন দেব (২৮), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ ফয়জুল আকতার ফজলু (৩৫), সন্ধারই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিলন (২০) ও পীরগঞ্জ উপজেলার মৃত বাবুলের ছেলে আশরাফুল(২৩)। ধষর্ণের পরে ঐ রাতে দুই বোনকে মহলবাড়ী গ্রাম এলাকার জাকের পার্টি অফিসের পাশে ফেলে রেখে সটকে পড়ে ঐ যুবকরা।
ভোরে মেয়ে দুটির আত্নীয়রা স্থানীয় লোক মারফত খবর পেয়ে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে। বিষয়টি রাণীশংকৈল থানার সার্কেল(অতিরিক্ত দায়িত্বে) সহকারী পুলিশ সুপার (এ.এস.পি) তৈহিউদ দোলা লুপুমের নিকট মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার ভিত্তিতে এবং তার নির্দেশে রাতারাতি ঘটনাটির সাময়িক তদন্ত সহকারে অপরাধীদের শনাক্ত করে আটক করে থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন বলেন, ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনকে আটক করে ঠাকুরগাঁও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধষর্ণের শিকার দুই বোনের ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষার রির্পোটে ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।