এবারের ফলন ১২ লাখ মেট্রিক টন
দিনাজপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে চলতি বোরো মওসুমের ধান কাটাই মাড়াই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কৃষিকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কম্বাইল হারবেষ্টার মেশিন। এতে অল্প সময়ে ধান কাটাই মাড়াইসহ বস্তাবন্দি করার সুবিধা থাকায় কম খরচে ফসল তুলে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছেন তারা। চলতি মওসুমে জেলায় ১লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১২লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ বুধবার(১৩ মে) সকাল ১১টায় বিরল উপজেলার বানিয়াপাড়ায় এলাকায় জুগিহারী গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলামের ৯০ শতক জমির ধান কাটাই মাড়াই কাজে কম্বাইল হারবেষ্টার মেশিনের ব্যবহার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমানসহ অন্যান্যরা। ধান কাটায় ব্যবহার করা হয়েছে কৃষি ভূতর্কিতে পাওয়া আব্দুর রাজ্জাকের কম্বাইল হারবেষ্টার মেশিন।
ওই মেশিনে একই সাথে প্রতি একর জমির ধান কাটাই এবং মাড়াই করা যায় প্রতি ঘন্টায়। বিঘা প্রতি আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে কৃষকের ঘরে ধান তুলে দিচ্ছেন তারা। এতে দুঃশ্চিন্তামুক্তভাবে ফসল ঘরে তোলার পাশাপাশি কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, চলতি মোওসুমে
জেলায় ৫১জন কৃষককে অর্ধেক দামে কৃষি ভূতর্কির আওতায় ৫১টি কম্বাইল হারবেষ্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও গত বছরে আরো ৩১টি কম্বাইল হারবেষ্টার মেশিন দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি মেশিনে ঘন্টায় এক একর হিসেবে ৮২টি মেশিনে দৈনিক ৮ ঘন্টায়
প্রায় সাড়ে ৬শত একর ধান কাটাই মাড়াই শেষে বস্তাবন্দি করে একবারে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। এতে কৃষি শ্রমিকের অপেক্ষায় পাকা ধান মাঠে ফেলে রাখতে হবেনা কৃষকদের। আর্থিকভাবে লাভবান হবে তারা।