ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ছাইবাড়িয়া গ্রামে শনিবার দিবাগত রাতে কৃষক দিলিপ দাস ও দিজেন দাসের যৌথ গরুর খামার সহ মৌসুমী ফসল আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এ সময় আগুনে পুড়েছে উন্নত জাতের দুইটি দুধেল গাভীসহ মোট ছয়টি গরু ও পেয়াজ, ধান, পাট সহ অন্যান্য সামগ্রী। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মতো। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষকদের আহাজারিতে সাইবাড়িয়া গ্রামে শোকের বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। দিলিপ ও দিজেন উক্ত গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পাওয়া মাত্রই ব্যক্তি উদ্যোগে স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিকভাবে ঐ পরিবারের জন্য ১ মাসের পুষ্টিকর খাদ্য চাউল, ডাউল, নুডুছ সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে রাতের অন্ধকারে ছুটে এসেছেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত খামার পরিদর্শন করে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। খামারে থাকা আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটা গরুর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত সহ নতুন ঘর নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি আরো জানান, অতি দ্রুতই তাদেরকে নতুন ঘর নির্মাণ সহ পুনরায় গবাদিপশুর ব্যবস্থা করে দিবেন। এছাড়া ইউএনও মাসুম রেজা ব্যক্তিগতভাবে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিবেন এবং সদর উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দিলিপ জানান, শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ প্রতিবেশী নাসিরের ডাক শুনে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি কিন্তু এরই মধ্যে গোয়াল ঘর পুড়ে যায়। এ সময় খামারে থাকা ছয়টি গরু আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দুইটি বিদেশি দুধেল গাভী ছিল।
এছাড়া গোয়াল ঘরে মৌসুম ফসল পেঁয়াজ, ধান ও পাট রাখা ছিল, সেগুলোও পুড়ে ছাই হয়। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০লক্ষ টাকা। সব হারিয়ে আমি এখন পথে বসে গেছি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছাঃ নুরুন্নাহার বেগম, ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরুছায়া ফাউন্ডেশনের সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দায়িত্বশীল সাংবাদিকগন। আরও পড়ুন