ফরিদপুর প্রতিনিধি
র ্যালী ও আলোচনা সভা সহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি র্ ্যালী বের করা হয়। র ্যালীটি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের টেপাখোলা সমাজসেবা কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়।
“প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টি ময় সারাদিন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পরে জেলা সমাজ সেবা কেন্দ্রের হলরুমে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডঃ একেএম আসজাদ এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডাক্তার মনমথ কুমার সাহা, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি এম এম বি জামান সেন্টু।
আমিষের চাহিদা পূরণ ও ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করেন তারা।
অনুষ্ঠান শেষে সমাজ সেবা কেন্দ্রের অসহায় শিশুদের মাঝে ডিম বিতরণ করা হয়। এসময় কাজী ফার্মস এর কর্মকর্তাবৃন্দ ও পোল্ট্রিশিল্প ব্যবসায়ীর সদস্য সহ শিশু সদনের কয়েকশো শিশু উপস্থিত ছিল।
এছাড়া বেলা সাড়ে 11 টার দিকে কাজী ফার্মসের পক্ষ থেকে শহরের কোমরপুরে অবস্থিত মুসলিম মিশন এতিমখানার হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে কয়েকশো শিশুর মাঝে ডিম বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এ কে এম আজাদ জানান, জেলায় বছরে প্রায় বিশ কোটি ডিমের চাহিদা। যার প্রায় সম্পূর্ণটাই এই জেলা থেকেই মেটানো হয়ে থাকে। পুষ্টিগুণসম্পন্ন ডিম উৎপাদনে আমরা সহযোগিতা করে থাকে।
জেলা সমাজসেবা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক তাসলিমা বলেন, ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে শিশু সদন কেন্দ্রের শিশুদের মাঝে ডিম বিতরণ করা হয় ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি এম এম বি জামান সেন্টু বলেন, ডিমের চাহিদা পূরণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পের সাথে জড়িত। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম সেই তুলনায় ডিমের দাম খুবই কম। এই শিল্পের সাথে জড়িত ওদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে ও দেশের ডিমের চাহিদা পূরণ করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। কৃষিখাতে ভর্তুকি দেয়ার মতো পোল্ট্রি খাতে ভর্তুকির দেয়া উচিত। নইলে ভবিষ্যতের ডিম আমদানি করতে হবে।
ডিম দিবস উপলক্ষে শিশুদেরকে ডিম খেতে দেওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশি।