আজব বছরের আজব মাস
–ফারিয়া হোসেন
চতুর্থ শ্রেনী,সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট স্কুল,ফরিদপুর
একটা বছরের শেষ । চায়না নামক একটি বড় দেশে করোনা বা কোভিড ১৯ নামক এক ভয়াবহ ভাইরাস এর প্রকোপ শুরু হয় । মাসটা তখন সম্ভবত নভেম্বর । এই ভয়াবহ ভাইরাসের প্রকোপে অনেক অনেক মানুষ মারা যায় । এভাবেই দেশে বিদেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় এ ভাইরাস মহামারী রুপ ধারন করে । অবশেষে সবচেয়ে শেষের টিকিটে এসে পৌঁছায় আমাদের প্রাণ প্রিয় বাংলাদেশে। এখানেও এই করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ এর ভয়াবহতা যথেষ্ট দেখা য়ায়। শুরু হয়ে যায় লক্ড ডাউন। সামনেই ছিল পবিত্র ঈদ-উল ফিতর,মন কি চায় আটকে থাকতে ? মনে হয় যাই না,একটু খানিই তো যাব,যাই না একটু আত্মীয়স্বজন,বন্ধু বান্ধব নিয়ে একটু মার্কেটে ঘুরে আসি,কিন্তু তাই কি যাওয়া যায় ,বাইরে তো আমাদের মহা শত্রু রয়েছে করোনা ভাইরাস,যার কারনে রাস্তা ঘাট সব ফাঁকা। এই লক্ড ডাউন এর নিয়ম ঘরে থাকা,যদি এই কঠিন শত্রু সারা বছরে না যায় । এখনইতো জুন মাস মানে অর্ধ বছর । যদি নির্মুল না হয় তাহলে কি আমরা সারা বছরই ঘড়ে থাকবো ।
এ বছরটাই একটু অন্য রকম, একটু না বলাই যায়,বলা যায় অনেকটাই। এটাকে ২০২০ না বলে বলা যায় আজব বছর।তবে কি আমরা এভাবেই ঘড়ে থাকবো,কিন্তু এই আজব বছর ও আজব মাসের মজাই আলাদা,পরিবারের সবাই একসাথে খাচ্ছে,কোচিং এর টিচার নয়,মা বাবা পড়াচ্ছে তার সন্তানকে,বিকেলে কোচিং নয়,ভাই বোন বাড়ির উঠানে খেলছে , পড়ার শেষে মোবাইল নয়,মা বাবা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছে। লক্ড ডাউনে আমরা ঘরে থাকলেও আমাদের সেবায় কয়েকজন,না ঠিক কয়েকজন না,বেশ কয়েকজন কাজ করছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ থাকবে না । তারা বিভিন্ন পেশার কিন্তু তাদের লক্ষ্য একটাই মানুষদের ঘড়ে রাখা তাদের জীবন নিরাপদে রাখা তাদেরকে সর্তক করা ও তাদের কোন অসুবিধা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা , তারা হচ্ছেন ডাক্তার, জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, সাংবাদিক,পুলিশ, সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ইত্যাদি।
বাড়িতে পরিবার পরিজন রেখেও তারা নিজের জীবন বাজি রেখে ফ্রন্ট লাইনে থেকে কাজ করছে, যেমন মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন পেশা ও ধর্মের লোক লড়াই করেছেন তবে তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই দেশকে স্বাধীন করা। ঠিক তেমনী এখনো বিভিন্ন পেশা ও ধর্মের লোক কাজ করছেন সবার লক্ষ্য একটাই মানুষ ও আমাদের দেশটাকে নিরাপদে রাখা। তাদের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মন থেকে শ্রদ্ধা ও স্যালুট জানাই কারন লক্ড ডাউন শুরু হবার পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশের কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এবং করোনা বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছেন।