• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২

চরভদ্রাসনে আসমানীরা পাচ্ছেন আরও একশত স্বপ্নের কুটির

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার অসহায়, দুস্থ, ও গৃহহীন আরও একশত পরিবার খুব শীগ্রই পেতে চলেছে আধাপাকা একশো’টি স্বপ্নের কুটির। উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে খাস জমিতে গাইড ওয়াল সহ ভিটে বেঁেধ নির্মান করা হচ্ছে একশত আধাপাকা বাড়ী। খুব শীগ্রই ঘরগুলো নির্মান কাজ শেষে করে গৃহহীনদের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ৪র্থ পর্যায়ে উপজেলায় আরও একশত মজবুত ঘর নির্মান করা হয়েছে।
ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ লিটন আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ কাউছার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খাইরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হক টিটু, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান নির্মানাধীন স্বপ্নে কুটিরগুলো প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করে চলেছেন। উল্লেখ্য, এরআগে উক্ত প্রকল্পর আওতায় উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ১৫০টি গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫০টি আধাপাকা ঘর, ২য় পর্যায়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০০টি ঘর এবং ৩য় পর্যায়ে ১৭টি ঘর সহ ৪র্থ পর্যায়ের ১০০ ঘর মিলে সর্বমোট ৪৬৭ গৃহহীন পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলা পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত যেসব পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে, রাস্তার ঢালে ও বিভিন্ন খাস জমিতে আশ্রয়ন গেড়ে মানবতের জীবন কাটাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের কারনে আজ তাদের ভাগ্যের চাকা বদলে গেছে। উপজেলার শত শত ছিন্নমূল পরিবারকে পথ থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বুঝিয়ে দিয়ে গৃহহীনদের জীবনমান পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য সরকারিভাবে প্রায় ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দু’টি বেডরুম। ঘরের সাথে এটাষ্টেট দু’টি বারান্দা। পিছনের বারান্দার এক অংশে রান্না ঘর এবং অন্য অংশে বাথরুম। আর সামনে রয়েছে আরেকটি উন্মুক্ত বরান্দা। গৃহহীনরা এখন তাদের নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের মধ্যে বসেই নিত্যদিনের বিভিন্ন সাংসারিক কার্যাবলী সারতে পারছেন। মাথাভাঙ্গা গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পর চারপাশে রয়েছে উন্মুক্ত ফসলী মাঠ ও পদ্মা পারের মনোরম পরিবেশ। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে বাসিন্দাদের পাশেই রয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে জিবীকা নির্বাহের জন্য উজ্জল সুযোগ। যাতায়াতের জন্য গ্রামের মধ্যে দিয়ে পাকা রাস্তার সাথে সংযোগ করা হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের আরেকটি রাস্তা। এছাড়া প্রতিটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যতিক সংযোগ। সবমিলে, উপজেলার নিঃগৃহিত জনগোষ্ঠী সরকারের বিশেষ নজরদারির কারনে ফিরে পাচ্ছেন সব ধরনের ডিজিটাইশেন সুবিধা।
মঙ্গলবার উপজেলা মাথাভাঙ্গা গ্রামে ৩য় পর্যায়ে নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্রে এক গৃহিনী মৌসুমী আক্তার (২৫) জানায়, পদ্মায় ভাঙার পর “ আসমান ছিল মোদের ঘরের চাল, আর খাট পালং হয়েছিল রাস্তার ঢাল”। সরকার আমাদের দুঃখ বুঝতে পেরে সেই কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি দিয়েছে। আমরা আজীবন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকুম”। উক্ত গৃহিনী আরও জানায়, স্থানীয় মেম্বাররা আমাদের কোনো খোজখবর রাখে না এবং আমাদের কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগীতাও করে না। কিন্ত ইউএনও স্যার সহ প্রশাসন সবসময় আমাদের সুখ দুঃখে পাশে দাড়ায়। এতেই আমরা খুব খুশি”।
উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, “উপজেলার অসহায় ও দুস্থ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রের পরিবার গুলোর উপর আমরা সব সময়ই নজর রাখছি। তাদের জীবনমান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পেশাগত উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছেন”।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।