• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নয় প্রত্যাবাসন চায়

ছবি প্রতিকী

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নিয়ে ২২ অক্টোবর বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। এ বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে আগামী ১০ বছর রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় কোন দেশ কীভাবে কত খরচ করবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ নিয়ে মোটেও আগ্রহী নয় বাংলাদেশ। কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মূল অবস্থান হলো দ্রুত প্রত্যাবাসন। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।

২২ অক্টোবরের বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চারটি গ্রুপ বৈঠকটি করতে যাচ্ছে—ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। মূল কথা আমরা রোহিঙ্গা সংকটের শিকার। প্রথমে আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে, তারপর এগুলো আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র শুধু মুখে বলে দিয়েছে বৈঠকের বিষয়ে। কী নিয়ে আলাপ করা হবে, এ নিয়ে আমাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে। সেটি জানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। এটিতে আমরা সবার প্রথমে অংশগ্রহণ করতে চাই। তবে পুরো বিষয়টি বুঝে তারপর।

রোহিঙ্গা নিয়ে ২২ অক্টোবরের বৈঠকে মিয়ানমারের কেউ থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, থাকতে পারে, আমরা এ নিয়ে কিছু জানি না। কারণ আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। তারা শুধু জানিয়েছে, আগামী ১০ বছর কীভাবে মানবিক সহায়তা গ্রহণ করতে হবে, তা নিয়ে আলাপ করবে। আমরা এ বিষয়ে আগ্রহী নই। আমরা তো রোহিঙ্গাদের আগামীকাল প্রত্যাবাসন করতে পারলে করে দেব। ফলে আমাদের মূল আলোচনা হবে প্রত্যাবাসন নিয়ে। আমরা ১০ বছর ধরে কোনো দেশ কত টাকা দেবে, তা চাই না। এ বিষয়ে আমরা আগ্রহী নই।

আবদুল মোমেন আরো বলেন, তারা যা বলছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান মিলছে না। তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে একাধিক বছরের পরিকল্পনা। বাংলাদেশ একাধিক বছরের পরিকল্পনায় নেই। এতে আমাদের আগ্রহ নেই। তারা বলছে, আঞ্চলিক দেশগুলো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে, এ অঞ্চলের মধ্যেই থাকলে ভালো। কেউ নিয়ে যায়নি এখনো। আমরা মনে করি এটি শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক ইস্যু। এতে সবার এগিয়ে আসা উচিত।

তিনি বলেন, যদি রোহিঙ্গারা সাগরে যায়, তবে তাদের উদ্ধার ও অন্যান্য তত্পরতা এ অঞ্চলের দেশগুলোই দেখবে। তাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। আমরা এ ধারণাতে একমত নই। এর আগে ইউরোপীয়দের এ বিষয়ে বলেছিলাম যে আপনারা তাদের জাহাজে করে নিয়ে যান না কেন। আর এখন আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেব। এখানে মাদকসহ নানা ধরনের ব্যবসা শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি আমাদের এ ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। এখন দাতারা অর্থ দিলে তাড়াতাড়ি করে করতে পারব।

ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশ থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষায় যেতে চায়, সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায়। আমরা এর ভেতরে নেই। আমরা বন্ধুত্বের দেশ।

মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন। উনি ওনার ইস্যুগুলো বলবেন। আমরা আমাদের ইস্যুগুলো বলব। আমরা বৈঠকে কোন ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করব তা নিয়ে কাজ করছি। রোহিঙ্গা আমাদের একটি বড় ইস্যু থাকবে। এতে আমাদের অবস্থান হচ্ছে প্রত্যাবাসন। আমরা শুধু মানবিক সহায়তার বিষয়ে আগ্রহী নই। মানবিক সহায়তা একটি অংশ। কিন্তু এটি প্রধান অংশ নয়। রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাবে এ বিষয়টি আমরা বৈঠকে তুলব। এজন্য কী করতে হবে তা ওনারা ঠিক করবেন। রোহিঙ্গা বাংলাদেশের একার দায়িত্ব নয়, এটি বৈশ্বিক দায়িত্ব।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।