• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বিদেশীদের হতবাক করেছে রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য

ফাইল ছবি

এনসাইক্লোপেডিয়া ও ইতিহাস বইয়ে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যা গত শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে আছে। অনেক বিদেশীই রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে হতবাক হয়েছেন। তারা রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ‘ঢাকার কাছে ১২৫ টি লাশ: সম্ভবত তারা অভিজাত বাঙালি’ শিরোনামে একটি বড়ো আকারের রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ রিপোর্টে পরাজয়ের ঠিক আগে আগে কিভাবে পাকিস্তানী বাহিনী ও তার বাঙালি দোসররা বাংলাদেশকে একটি মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

বধ্যভূমির অন্যতম এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় সাংবাদিক বিকাচ চৌধুরী। তিনি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান নিয়ে রিপোর্ট করতে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি লিখেছেন, সর্বত্র আনন্দমুখর পরিবেশ সত্ত্বেও রায়ের বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য তাকে প্রচন্ড হতবাক করে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, একটি পরিত্যক্ত ইটখোলার ভেতরে আমি অসংখ্য বিকৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও ঢাকার সাংবাদিকরা আমাদের বলেছে, চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগে কিভাবে বাংলাভাষী আল বদর বাহিনী এসব নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল।

তিনি আরো বলেন, আমি এখনও চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সাপ্তাহিক শিলাদত্তের সম্পাদকের ঝাঁঝরা লাশ কিভাবে পড়ে আছে, কিভাবে পড়ে আছে ড. ফজলে রাব্বির ক্ষতবিক্ষত লাশ।

তিনি বলেন, পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের বাঙালি দোসরদের নৃশংসতা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। কারণ, এ হত্যাযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছিল। চৌধুরী আরো বলেন, কৌশলগত অসুবিধার চেয়েও সীমাহীন নৃশংসতা ও নৈতিক অবক্ষয় পাকিস্তানের পরাজয়ের মূল কারণ হয়ে উঠেছিল। বাসস

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।