দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্যত্র ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আভাস রয়েছে। তাই সব নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ১৫ মে নাগাদ এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ১৬ মে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি সঞ্চয় করবে। তাই সব মাছ ধরা নৌকাকে গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে যারা গভীর সমুদ্রে রয়েছে তাদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে। এটি আগামী ১৯ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে গতিমুখ ফেরাতে পারে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়, আসাম, বরাক উপতক্যা ও ত্রিপুরা উল্লেখ্যযোগ্য বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।
পাউবোর নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৯টি পয়েন্টের মধ্যে বিভিন্ন নদ-নদীর ২৪টি পয়েন্টে পানির সমতল হ্রাস পেয়েছে। সারিগোয়াইন ও মনু নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ১৪টি পয়েন্টে পানির সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিবর্তিত আছে একটি পয়েন্টের পানির সমতল।