ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ভুবেনশ্বর নদীতে আড়াআড়ি বাঁশের বেড়া, বানা ও ভেসাল জাল দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে রবিবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুবনেশ্বর নদীটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, নজুর দোকান নামক সংলগ্ন নদীতে, আমিরার ব্রীজ সংলগ্ন নদীতে, লোহারটেক ব্রীজ সংলগ্ন নদীর স্থানসহ উক্ত নদীর আরো বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু স্থানীয়রা আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া, বানা ও ভেসাল জাল দিয়ে পুরাে নদী আটকিয়ে অবৈধভাবে রেনু পোনাসহ প্রতিদিন ছোট,বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে চলেছেন।
এসময় নদীতে অবৈধভাবে বাশেঁর বেড়া, বানা ও ভেসাল জাল দিয়ে মাছ শিকার করার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন স্থানীয় জানান, পানি বাড়ার কারনে বর্তমানে নদীতে কোনো মাছ পাওয়া যায়না। এছাড়া, বাড়ির পাশে নদী তাই শখের বসে একটু মাছ ধরার চেষ্টা করছি।
এদিকে, নদীতে বেড়া, বানা ও ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু নাঈম রবিবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে জানান, কিছু স্থানীয়রা নদীতে প্রতিদিন যেভাবে বাঁশের বেড়া, বানা ও ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু করেছে। এতে করে নদীতে পানির প্রবাহ বাধার সৃষ্টি হওয়ার সাথেসাথে মাছের প্রজনন ক্ষেত্রেও চরমভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি আরো জানান, নদীর উজান দিকে বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে মাছ ধরায় আমরা ভাটির মানুষেরা সামনে নদী থেকে যে কিছু মাছ ধরে খামু তা আর মনে হয় সম্ভব হবেনা। আপনারা এবিষয়টা একটু গুরুত্বসহকারে দেইখেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
নদীতে বাঁশের বেড়া, বানা ও ভেসাল জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করার বিষয়ে জানতে চাইলে চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী জানান, আমিও এবিষয়টি নিজে দেখেছি। এছাড়া আমি এব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথাও বলেছি। আমরা এসপ্তাহের মধ্যেই বাঁধ অপসারনে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা জানান, হ্যা আমি ব্যাপারটি জেনেছি, আমরা এব্যাপারে দু’ এক দিনের মধ্যে নদীতে বাধঁ অপসারনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করবো।