মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সালথায় জেলা পরিষদ থেকে লিজ নেওয়া এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম মো. নুরুল ইসলাম। তিনি সাবেক সেনা সদস্য। পুকুরটি থেকে বালু উত্তোলন করা হলে তার বসতবাড়ি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিযোগ।
সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামের বাসিন্দা ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন- আমার বাড়ির সামনে ৭২ শতাংশ জমির উপর জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে পুকুরটি আমি জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে আসছি। পুকুরটি এমনিতে অনেক গভীর। এরপরেও পুকুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করছেন পারশবর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ড্রেজার মেশিনও পুকুর পাড়ে এনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- বালু উত্তোলন করে তারা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের উলুকান্দা গ্রামে গৃহহীনদের জন্য তৈরী সরকারি ঘরের কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন। পুকুরটি আমার বসতঘরের সামনে। এখান থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করলে পুকুরের পাড় ভেঙ্গে আমার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে নিলে কোনো সমস্যা হবে না। আমারও কোনো আপত্তি নেই।
তিনি বলেন- সরকার ঘর তৈরী করে দিচ্ছে অসহায় মানুষদের জন্য। তাদের বসবাসের জন্য। সরকার তো বলে নাই একজনের ক্ষতি করে আরেকজন ঘর তৈরী করে দিতে। বিষয়টি সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাছলিমা আকতারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী বলেন- আইন অনুয়ায়ী সরকারি কাজে যদি কখনো সরকারি জায়গার মাটির প্রয়োজন হয় তাহলে সরকার তা ব্যবহার করতে পারবেন। এ ধরণের বিধান রয়েছে। যেহুতু পুকুরটি সরকারি, সেহুত ওটা ব্যবহার করা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য যে ঘর তৈরী করবে, ওই ঘরের নিচু জমি ভরাটের জন্য। সেই পরিকল্পনায় আমরা ওখান থেকে বালু উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া ওই পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের জন্য আমরা জেলা পরিষদ থেকেও অনুমোতি নিয়েছে। আমাদের ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি।
১৫ এপ্রিল ২০২২