ফরিদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খান (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। তিনি গত ২৪ আগস্ট থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই ১৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৪.৩০ মিনিটের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ২১ দিন করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মৃত্যুকালে ১ পুত্র, ১ কন্যা, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগাহি রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর খবর ফরিদপুরে ছড়িয়ে পড়লে সাড়া জেলায় আ.লীগ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, নানা পেশাজীবি ও সেবামূলক সংগঠনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, আব্দুর রহমান, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডঃ শামসুল হক ভোলা মাস্টার, সভাপতি এ্যাডঃ সুবল চন্দ্র সাহা, সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি, বিশিষ্ট শিল্পপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঝর্না হাসান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি মাসুদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বৈশাখ নিউজ.কম, শিবাজী নিকেতনসহ অনেকে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বাদ জোহর জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের পর আলীপুর গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
ফরিদপুর আলীপুর এলাকার বাসিন্দা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক ব্যক্তি দীর্ঘকাল আ.লীগের লড়াই-সংগ্রামে রাজপথ কাঁপানো নেতা হিসেবে সকলের কাছে প্রিয়। তার পিতাও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। ফরিদপুরে ছাত্র জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয়। শহরের থানা রোডের পশ্চিম পার্শ্বে তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাঝে মধ্যেই বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক সহচর নিয়ে চা চক্রের আড্ডা দিতেন। তারই অনুপ্রেরণায় তার পিতা তৎকালীন সময়ে জয় বাংলার আদর্শে আ.লীগের রাজনীতিতে আসেন ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন মরহুম নিজামউদ্দিন খান। তার পুত্র হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান খান সার্বক্ষণিক চেষ্টা করেছেন স্বাধীনতা পক্ষের লড়াই-সংগ্রামে নিজেকে উজ্জীবিত রাখার। আপোষহীন সংগ্রামে পথ চলেছেন মুক্তিযোদ্ধার মত। ফরিদপুরের রাজনৈতিক মহলেই শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয় একজন মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে তিনি বিভিন্ন সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক মহলে সমানভাবে কাজ করেছেন।