বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি : এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য চান্স পেয়েছেন
এক ফেরিওয়ালার ছেলে ভুপেন্দ্র অধিকারী। কিন্তু অর্থাভাবে তার মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে দেখা দিয়েছিল চরম অনিশ্চয়তা। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার মতো নেই
কোনো সামর্থ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার জানতে পারেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের (বোয়ালমারী-মধুখালি-আলফাডাঙ্গা) দুইবারের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান। তাঁর দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভুপেন্দ্রের মেডিকেলে পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন।
জানা যায়, ভুপেন্দ্র নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খালিশা-চাপানী ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের মতিলাল অধিকারী-বাসন্তী অধিকারী দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। তিনভাইদের মধ্যে সে সবার ছোট। তার বড় দুইভাই কৃষক। মাঝে মাঝে রিকশাও চালান। ভুপেন্দ্রর বাবা মতিলাল অধিকারী ফেরি করে বাদাম বিক্রি করেন এবং মা গৃহিণী। এতোদিন তার বাবা বাদাম বিক্রি করে ভূপেন্দ্রর পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ হওয়ায় বাদামের ব্যবসা করার সক্ষমতাও নেই তার। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রহমানের নজরে আসে। এরপর তিনি ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে ভুপেন্দ্র ও পরিবারের সাথে কথা বলে তার মেডিকেলে ভর্তিসহ পড়ালেখার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন।
এসময় ভিডিও কলিংয়ে আব্দুর রহমান ভুপেন্দ্রের বাবা মতিলাল অধিকারীকে বলেন, আপনাদের অনেক কষ্টের বিনিময়ে ছেলে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। এজন্য আপনাদের অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাই। আপনারা ভাববেন না, ওর মেডিকেলে পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি নিলাম। ভুপেন্দ্রকে নিয়মিত পড়ালেখা করতে বলবেন।
ভুপেন্দ্রের মা বাসন্তী অধিকারীকে আব্দুর রহমান আরো বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যা এটা কোন সমস্যাই না। আমি তার সাথে আছি। সে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করবে এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে এটাই আমার চাওয়া।
ভুপেন্দ্রে অধিকারী তার পড়ালেখার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আব্দুর রহমানের কাছে চিরকৃতজ্ঞতার কথা জানান। ভুপেন্দ্রের কথায় আব্দুর রহমান বলেন, তুমি কোন কিছু নিয়ে ভাববে না। তোমার যখন যা লাগবে সময়মত তোমার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। নিয়মিত পড়ালেখা করে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য তোমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।