নাম আব্দুস সাত্তার। আমি তাঁকে মামা বলে ডাকি সেও তাই বলে আমাকে। পরিচয় যখন রিক্সা চালাতো,খেতে খামারে কাজ করতো তখন থেকে। বন্ধু বাচ্চু খানসামা (ডেবিট) এর মাধ্যমে। গায়ের জোর দেখে অবাক হতাম। সাহসটাও ছিল অদম্য,উচ্ছ্বাস ছিল প্রানবন্ত। ভাল লাগতো সে থেকে। রাইসমিলে ধান ভাঙতে নিতো মামা। বর্তমান কর্মস্থল ফরিদপুর সাদিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের গেইটে জেনারেল ষ্টোরে।
দু”টি পা নেই তাঁর আজ তবে একদিন ছিল। তাই বলে সে পঙ্গুত্ব বরন করেনি। হার মানেননি জীবন জীবিকার কাছে। সাহস হারায়নি একটুও। শুধু সামনের পথ দেখে। এগিয়ে যেতে শিখেছে সে। যে জীবনে ঝড় – ঝাপটা, রোদ- বৃষ্টি, ভাঙ্গাগড়ার খেলা দেখেছে তার আর কিসের ভয়? মানুষের কাছে হাত না পেতে স্বচালিত রিক্সা নিয়ে নিজেই হ্যান্ডেল মেরে মেরে হাট- বাজারে যেয়ে বাজার করতো। সহধর্মিণীকে নিয়ে দোকানটাকে দার করিয়েছে সে। আজ আর কারও পানে চেয়ে থাকতে হয় না তাঁর। একেই তো বলে স্বাবলম্বী। ধন্য আমি তোমায় দেখে মামা। তুমি ভাল থেকো।