• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
তরমুজের নানান গুনাগুন

হেলথ্ ডেস্ক :-তরমুজ শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এছাড়া ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে তরমুজের বিকল্প নেই।

গবেষকরা বলেছেন, এটি নিয়মিত খেলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস এবং হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুইড ও মিনারেলসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পেতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখা উচিত।

তরমুজের উপকারিতা 

পানিশূন্যতা দূর করেঃ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।

প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছেঃ
তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে যায়।

এছাড়াও নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
চোখ ভালো রাখেঃ
তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ
তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খুব কম পরিমাণে ক্যালরি। আর তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু সে অনুযায়ী তেমন কোনো ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করে না।

ফলে তরমুজ খেয়ে পেট পুরে ফেললে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

দুর্বলতা দূর করেঃ

টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা দুর্বল তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

একটি তরমুজে প্রচুর পরিমাণে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে যা শরীরকে প্রতিমুহূর্তে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।

হাড়ের জন্য ভালোঃ
লিকোপেন সমৃদ্ধ খাবারের আরেকটি গুণ হল হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো করে। এটি হাড়ের অক্সিডেটিভ উপাদান দূর করে, যা হাড়ের ব্যথার জন্য দায়ী।

এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। তাই, প্রাকৃতিকভাবেই আপনার হাড়ের সমস্যা দূর করবে তরমুজ।

চোখ ভালো রাখেঃ
তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ত্বকের জন্যঃ
তরমুজ ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা শুধু ত্বক নয় চুলের জন্যও ভালো।

ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ
তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খুব কম পরিমাণে ক্যালরি। আর তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু সেই অনুযায়ী তেমন কোনো ক্যালরী শরীরে প্রবেশ করে না।

ফলে তরমুজ খেয়ে পেট পুরে ফেললে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

যৌনশক্তি বাড়ায়ঃ
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির দিক থেকে দুর্বল তাদের জন্য এটি প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

একটি তরমুজে প্রচুর পরিমাণে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে যা ভায়াগ্রার বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমর্থনঃ
এটি ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যারটিনয়েড ট্রিটেপেনইডিস এবং ফেনোলিক  এর মতো যৌগের সমৃদ্ধ ফল।

ফলে শরীরের যে কোনো প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস জনিত অসুস্থতা কমে যায়।

এছাড়াও এটি নিয়মিত খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

কার্ডিওভাসকুলার ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করেঃ
তরমুজ বিশেষ করে আমাদের কার্ডিওভাসকুলার-এর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং বর্তমান সময়ে দেখা গেছে এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যেও অনেক বেশী প্রয়োজনীয়।

এটি ভাসডিলেশন এর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, ও কার্ডিওভাসকুলার এর সাথে সম্পর্কিত ফাংশনসমূহ উন্নত করে।

এটি হাড়ের গঠন শক্ত ও মজবুত করে। এটি পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল তাই হাড়ের ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে, এবং হাড়ের জয়েন মজবুত করে।

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করেঃ
অনেকদিন ধরে যারা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন এই ফলটি খাবেন। দেখবেন এটি আপনার শরীরে ভিটামিন সি’র অভাব পূরণ করে হাঁপানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

ব্যথা থেকে বাঁচতে তরমুজ খানঃ
অনেকেই দেখা যায় শরীরচর্চার পর পেশীর ব্যথায় ভোগেন। এ থেকে বাঁচতে আপনাকে এটি সাহায্য করতে পারে।

শরীরচর্চার অন্তত এক ঘন্টা আগে এক কাপ তরমুজের জুস পান করুন। দেখবেন, শরীররচর্চার পর পেশীতে ব্যথার অনুভূতি তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে।

তবে মনে রাখবেন, তরমুজের জুসে সুগারের পরিমাণ একটু বেশি। তাই জুস না-খেয়ে সরাসরি তরমুজ খাওয়া ভালো।

অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়কঃ
সাধারণ মানুষ নিয়মিত তরমুজ খেয়ে অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে পারেন। তরমুজে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে।

যারা ইতোমধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও তরমুজ খেয়ে উপকার পেতে পারেন। আরেকটি বিষয়, এটি ফুসফুস সুস্থ রাখতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

কিডনি বা বৃক্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ
আপনাদের কেউ কি কখনও কিডনির পাথর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? কিডনিতে পাথর হলে এবং তা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।

অনেকে এ ব্যথা সহ্য করতে পারেন না। যারা, এ থেকে সাবধান থাকতে চান, তাদের উচিত নিয়মিত এটি খাওয়া।

না, নিয়মিত খেলেই যে আপনার কিডনি পাথরমুক্ত থাকবে, এমন নয়। তবে, এতে আপনার কিডনির ওপর চাপ কমবে।

আর কিডনি যখন তার কাজ ঠিকমতো করবে, তখন সেখানে পাথর হবার আশঙ্কাও কমবে। এটি নিয়মিত খেলে আপনার প্রস্রাবের ধারা স্বাভাবিক থাকবে।

এতে কিডনি পাথর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখেঃ
আপনার রক্তচাপ ঠিক আছে কি? অনেকেই খাদ্যগ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, খাদ্য তালিকায় নিয়মিত তরমুজ রাখুন। কারণ, তরমুজে প্রচুর পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজের রাসায়ানিক উপাদানঃ
তরমুজে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য-

ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, আঁশ, আমিষ, চর্বি, ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কার্বহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ, ফসফরাস, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ও ভিটামিন বি২, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পলিআনস্যাচুরেটেট , মনোস্যাচুরেটেট চর্বি, ইত্যাদি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।