• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরের শোলাকুন্ডু গ্রামে বারি প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

কে এম রুবেল, ফরিদপুর।

সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), ফরিদপুর এবং প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং, বারি, গাজীপুর এর উদ্যোগে শনিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের শোলাকুন্ডু গ্রামে বারি প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় ফসল মিউজিয়াম ও মাঠ ফসল উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি, বরিশালের  মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফি উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি গাজীপুরের সম্মানিত পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম।

মাঠদিবসে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুর এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছালেহ উদ্দিন, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এর ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ, বারি গাজীপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শওকত আলী খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ আশুতোষ কুমার বিশ্বাস। সমাবেশে সংশ্লিষ্ট গ্রাম ও পার্শ্ববতর্ী গ্রাম থেকে আগত শতাধিক চাষী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সগবি, বারি, ফরিদপুরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ এবং স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সগবি, ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এ.এফ.এম. রুহুল কুদ্দুস।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বারি প্রযুক্তি পল্লী আওতায় ফসল মিউজিয়ামে ৯ টি ফসলের ১৫ টি জাতের সন্নিবেশ করা হয়েছে। যেমন, সরিষা ২টি জাতের মধ্যে বারি সরিষা-১৮ (ক্যানোলা জাত) অন্যতম যা রান্নার তেল হিসেবে খুবই উন্নতমানের। এছাড়াও বারি সরিষা-১৮ এর ফলন শতাংশে ৮ -১০ কেজি যেখানে স্থানীয় জাতের ফলন শতাংশে মাত্র ৩.৫ কেজি। ডাল ফসলের মধ্যে জিঙ্ক ও আয়রন সমৃদ্ধ বারি মসুর-৮ যা দেরীতে বপনযোগ্য এবং বারি মসুর-৯ স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে সহজেই চাষোপযোগী। এছাড়াও বারি ঝাড়সীম-২ খুবই উচ্চফলনশীল। সব্জি ফসলের মধ্যে মূলা (বারি মূলা-১), লালশাক (বারি লালশাক-১), ব্রোকলি (বারি ব্রোকলি-১), পালংশাক (বারি পালংশাক-১), আলু (বারি আলু-২৮, ২৯, ৩৬, ৪১ ও ৫৩) ও লেটুস (বারি লেটুস-১) অন্যতম। বারি উদ্ভাবিত নতুন ফসল এর জাত কৃষক এক জায়গায় দেখে খুবই আনন্দিত হয়। অতিথিগণ বলেন, নতুন জাত আবাদে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন ও খুব সহজে তাদের প্রচলিত ফসল ধারায় খাপ খাওয়াতে পারবেন। কৃষকদের নতুন জাত ও প্রযুক্তি দ্বারা ফসল আবাদের জন্য প্রধান অতিথি সবাইকে অনুরোধ করেন। অংশগ্রহনকারী কৃষকগণের বিভিন্ন কৃষি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্রদান করেন। তাঁদেরকে সহায়তা করেন বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী কৃষকগণ ফসল মিউজিয়াম, বারি মসুর-৮ ও বারি সরিষা-১৪ এর মাঠ দেখে জাতগুলোর প্রতি কৌতুহলী হন এবং এর আবাদে সুবিধা-অসুবিধা, আয়-ব্যয় ইত্যাদি সম্বন্ধে সম্যক ধারনা লাভ করেন। তাদের আবাদকৃত প্রচলিত ফসল বিন্যাসে আগামী বছর জমি অনুযায়ী ডাল, তেল, আলু ও সব্জি ফসলের উন্নত জাতগুলোর সন্নিবেশনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।