• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চায় পুত্র মোঃ মিরাজ

যদি রাত পোহালে শোনা যেত/বঙ্গবন্ধু মরে নাই/যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো/বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই/তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা/আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা……..।

বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহবানে সেদিন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের খলিসাডুবী গ্রামের যুবক মোঃ জামাল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। স্থানীয় যুবকদের সাথে সুদূর ভারতে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে তৎকালীন সময়ে ৯নং সেক্টরের অধিনে মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মঞ্জুর আলীর মাধ্যমে রণাঙ্গনে বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব আর পরবর্তীতে জীবন দারিদ্রতার সংগ্রামে যুদ্ধ করে, করে চলে যাওয়া আর না বলা কথাগুলোর দীর্ঘশ্বাস আজও বাতাসে ভাসছে। তিনি ১৯৯৪ সালে দিকে ইন্তেকাল করেন। তার স্ত্রী ফরিদা বেগম ৭ ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবনের ঘানি টানতে থাকেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ফরিদপুর পৌরসভাধীন পূর্বখাবাসপুর এলাকায় বসবাস করতেন মোঃ জামাল উদ্দিন। এলাকায় ক্ষুদ্র একটি মুদি দোকানের উপর নির্ভর ছিল তার সংসার। মৃত্যুর পর দারিদ্রতার অথৈ সমুদ্রে পড়ে যান তার পরিবার। তারপরও জীবন থেমে থাকে না, জীবনকে চালাতে হয়। বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই তাকে ছুটতে হয়। রনাঙ্গণের কয়েক মুক্তিযোদ্ধার উৎসাহ প্রেরণায় মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার দালিলিক নথিপত্র সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখায় প্রমাণাদিসহ আবেদন করেন।

সাম্প্রতিক মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভূক্ত কর্মকা- কেন্দ্রিক একটি প্রতিবেদন জাতীয় সংবাদপত্র যুগান্তরে প্রকাশ পায়। সেখানেও জামাল উদ্দিন নামে আসে ভারতীয় প্রশিক্ষণ শিবিরের ই/৩৫, সেক্টর-৯-এ এই মুক্তিযোদ্ধার নাম মুদ্রণকৃত রয়েছে। সেদিনের সহযোদ্ধারাও বার বার শুনানী ও তদন্ত প্রক্রিয়ায় জামাল উদ্দিনের মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ ও বীরত্বের বিষয়টি সত্যতা প্রদান করেছে। তারপরও কী কারণে হালনাগাদ গেজেটে এই মহান মুক্তিযোদ্ধার আসেনি সে বিষয়টি জানা নেই পরিবারের।

তার পুত্র শহরের চকবাজার এলাকার ফুটপাতের চা বিক্রেতা মোঃ মিরাজ বলেন, আমি সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তারপরও দীর্ঘদিন চরম দারিদ্রতার সাথে আমি ও আমার পরিবার লড়ে যাচ্ছি। আমার পিতার মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি চাই। মহান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার অবদান বাংলাদেশ সরকার প্রদান করুক আমাদের এটাই প্রত্যাশা। দেশ ও স্বাধীনতার জন্য আমার পিতা যে আত্মত্যাগ আর দেশাত্ববোধে সেদিন অস্ত্র হাতে শত্রু নিধন করেছিল তার স্বীকৃতি দেক সরকার। (চলবে)।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।