ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে ঘোড়াদাহ গ্রামের জোছনা (২২) নামে এক গৃহবধুর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ৫০ হাজার টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী রাশেদ মোল্যা ও তার বড় ভাই হাসিব মোল্যা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন গৃহবধুর বড় ভাই নিলু শেখ। আজ সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই গৃহবধুকে আজ সকাল ১০টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্হা অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করা হয়। আগুনে ওই গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ জোৎসনা কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামের রাশেদ মোল্যার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিলমন্ডল হাট এলাকার আঃ ছালাম সেকের মেয়ে। দেড় বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কোন সন্তান হয়নি।
গৃহবধূর বড় ভাই নিলু শেখ জানান, দেড় বছর আগে রাশেদ মোল্যার সাথে আদরের ছোট বোন জোৎসনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোয়া ভরি স্বর্ণ যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার বোনকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে রাশেদ। মাস ছয়েক আগে স্বামী রাশেদ এর সাথে বড় আকারে ঝগড়া লাগলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিলমিশ করে দেন। এরপরও বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে রাশেদ এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় । এ অবস্হায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। এক পর্যায়ে বাক বিতর্ক লাগলে জোৎসনার গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেয় পাষন্ড স্বামী ও তার ভাই হাসিব মোল্যা।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগীর শরীরের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।