• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
বিলুপ্তির পথে সালথা’র ঐতিহ্যবাহী কামারশিল্প

মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

হাতুড়ির টং টং শব্দে সকাল বেলা প্রতিবেশির ঘুম ভাংতো। সেখানে আজ নিঃশব্দ নিরবতা। গ্রামগঞ্জে হাট বাজারের কামার সম্প্রদায়ের অধিকাংশ সদস্যরা তাদের বংশগত পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। তারপর ও জীবন জীবিকার তাগিদে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের কিছু কিছু কামার পরিবার এখনো তাদের বাপ-দাদার এ পেশা আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি মানুষের সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় দা, বটি, কুড়াল, কাচি, খোন্তা, টেঙ্গি, কোদালসহ নানা জিনিস তৈরি করে কামারেরা তাদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

বর্তমানে এ পেশার আয় দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে অনেকেই পুর্ব পুরুষের পেশা বাদ দিয়ে অন্য পেশায় ঝুকে পড়েছেন। ক্ষুদ্র এ শিল্পের কাচামাল হিসাবে ব্যবহৃত লোহা ও কয়লার দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে কিন্তু তাদের তৈরি জিনিস পত্রের দাম খুব বেশি বৃদ্ধি না হওয়ায় এই পেশা থেকে দিন দিন তারা সরে যাচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় ২ শতাধিক কামার পরিবার গুলো আজ ভাল নেই। সালথা বাজারের আসু কর্মকার জানান, বর্তমানে লোহার দাম বেশি সে জন্য জিনিসপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সোনাপুর বাজারের জয়দেব কর্মকার বলেন, পাথর কয়লার দাম বেশি এবং কাঠ কয়লা না পাওয়ার কারনে চাহিদা থাকা সত্বেও আমরা জিনিসপত্র তৈরি করতে পারছি না।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামার পরিবারের সাথে কথা বলে জানাযায় তারা হতদরিদ্র ও অনেকেই ভুমিহীন। অনেকের বসবাসের ভিটামাটি ছাড়া তাদের তেমন কোন জায়গা জমি নেই। তবে প্রয়োজনীয় পূজি না থাকায় ও উপকরণ সমূহ সঠিক ভাবে না পাওয়ায় তাদের এই দূরবস্থার মূল কারণ হিসাবে দেখছেন স্থানীয় সুধী মহল। সে কারণেই কামার শিল্প দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

১৭ জানুয়ারি ২০২৫

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« জানুয়ারি    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।