• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
চরভদ্রাসনে লাভবান হচ্ছেন চরাঞ্চলের গরু খামারীরা

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ-  

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে গড়া গরু ফার্ম মালিকরা এ বছর কোরবানী ঈদে লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা পদ্মা নদী ঘেষে গো-খাদ্যে ভরপুর চরাঞ্চলগুলো গরু পালনের সুবিধাজনক স্থান। তাই উপজেলার অনেক যুবক চরাঞ্চলের পতিত জমিতে গরু ফার্ম গড়ে লাভবান হচ্ছেন। চরাঞ্চলের উন্মুক্ত জমিতে পর্যাপ্ত পরিমান গো-খাদ্য চাষ, বর্জ্য নিস্কাশন সুবিধা ও পতিত চারণ ভুমি সুবিধা করে দিয়েছে ফার্ম মালিকদের।

উপজেলা পদ্মা নদীর অপর পারে চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সামাদ মাতুব্বর ডাঙ্গী গ্রামের শেখ সেন্টুর গরু ফার্ম ঘুরে জানা যায়, উক্ত ফার্ম মালিকের বসতবাড়ী উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ঢালাপাড় গ্রামে। তিনি সৌদী প্রবাসী ছিলেন। প্রায় তিন বছর আগে দেশে ফিরে আসার পর তিনি ৬০/৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের মাত্র ৭টি ষাড় বাছুর গরু কিনে উক্ত পদ্মা নদী চরে একটি ফার্ম গড়ে তোলেন। এ বছর কোরবানী ঈদে তার ফার্মে ১০/১২ মন ওজনের ২৩টি বিক্রয়যোগ্য ষাড়গরু রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিটি ষাড় ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা দাম হাকাচ্ছেন বেপারীরা।

ফার্ম মালিক শেখ সেন্টু জানায়, “ফার্মের পাশে সাত বিঘাত পতিত জমিতে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ করেছি। এসব উৎপাদিত ঘাস দিয়েই ফার্মের গো-খাদ্যের চাহিদা পুরন হচ্ছে। ফলে তার ফার্মে বাজারজাত গো-খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। একজন মজুর সহ তিনি নিজে ফার্মে নিয়মিত শ্রম দিয়ে থাকেন। ফলে চরাঞ্চলের ফার্মগুলোতে গরু পালন ব্যায় অত্যন্ত কম। তবে অতি বন্যাকালিন সময়ে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয় বলেও তিনি জানান”।

জানা যায়, উপজেলার পদ্মা নদী ঘেষে ৩টি ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল চরাঞ্চল। গো-খাদ্যে ভরপুর এসব চরাঞ্চলে গরু পালনে বেশ সুবিধাজনক স্থান। এসব চরগুলোর মধ্যে উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর, চরকল্যানপুর, দিয়ারা গোপালপুর, চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুর, ভাটিশালেপুর, উজান শালেপুর, চরহাজারবিঘা ও গাজীরটেক ইউনিয়নের মোহনমিয়া চরে বসবাসরত প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের জীবিকা অর্জনের প্রধান অবলম্বন হচ্ছে গরু পালন করে কোরবানী ঈদে তা বিক্রি করা। বছর ভরে গরু পুষে কোরবানীর ঈদের সামনে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন হাটে গরু নিয়ে বিক্রি করে সারা বছর সংসারের খরচ মেটান চরবাসী।

শনিবার উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ দিবস রঞ্জন বাকচী জানান, “ উপজেলায় ছোট বড় মিলে মোট ১৬০টি গরুর ফার্ম রয়েছে। এছাড়া উপজেলার চরাঞ্চলের প্রতিটি কৃষক পরিবার নূন্যতম ৪/৫টি করে গরু পালন করে থাকেন। এ বছর কোরবানী ঈদ পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় নাই। ফলে গরু পালন করে উপজেলার প্রায় সব পরিবার এ বছর লাভবান হয়েছেন”।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।