ফরিদপুর সদর উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এ সময় কাটা গাছগুলো জব্দ করেছে বন বিভাগ।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার সরদার ডাঙ্গী এলাকার রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটতে শুরু করে দিনমজুরেরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজিরা হন বন বিভাগের রেঞ্জার সিরাজুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রেঞ্জার কর্তনকৃত দুটি আকাশমনি গাছ জব্দ করেন। যেখানে দুটি গাছ থেকে ৩৮ ঘনফুট কাঠ পাওয়া যাবে বলে জানা যায়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সোহানের নেতৃত্বে সকাল থেকে গাছ কাটা শুরু করে দিনমজুরেরা। সোহানের পিতার নাম ইব্রাহিম সরদার, একটি ইট ভাটায় চাকরি করেন। সোহান ইতিপুর্বে বেশ কিছু সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এলাকার উপকারভোগী সমিতির লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের হুমকি ধমকি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় উপকারভোগী সমিতির সভাপতি আঃ সালাম সরদার জানান, এই সোহান পুর্বেও বেশ কিছু গাছ কেটে বিক্রি করেছে। আমরা জিজ্ঞাসা করলে বলেছে অফিসের অনুমতি নিয়েই সে গাছ কাটছে। সরকার দলের লোক বলে আমরা কিছু বলার সাহস পেতাম না।
বন বিভাগের রেঞ্জার সিরাজুল ইসলাম জানান, সকালে আমি বিশ্বস্ত সূত্রে সংবাদ পাই যে সরদার ডাঙ্গী এলাকায় সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমি, ফরেস্টার মোঃ মোতালেব মিয়া, নৌকা চালক জাহিদুল ইসলাম, বাগান মালি সুশান্ত মন্ডল ঘটনাস্থলে ছুটে আসি, এসে দেখি দুটি আকাশমনি গাছ কাটা হয়ে গেছে। গাছ দুটি থেকে ৩৮ ঘনফুট কাঠ পাওয়া যাবে। আমি গাছগুলো জব্দ করে ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলাকার ইব্রাহিম সরদারের ছেলে ও ইয়াছিন সরদারের নাতি ছাত্রলীগ নেতা সোহান সরদার লোকজন এনে সকাল থেকে গাছ কাটা শুরু করে। সোহান এর আগেও বেশকিছু গাছ কেটে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আগে ধরতে পারিনি। আজ হাতেনাতে ধরেছি। এখন বন আইন অনুযায়ী পিওআর নং ১ ফরিদপুর /২০২০-২১ মামলা হবে এবং সে অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।