বিশেষ প্রতিনিধি:-সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সমকালের নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাসের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ নভেম্বর বুধবার। দিনটি পালন উপলক্ষে ফরিদপুরে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
সকালে ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতমের সমাধিতে সমকাল ও প্রথম আলো সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধানিবেদন করা হয়।
দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাব চত্বরে গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সঞ্চালনায় গৌতম দাসকে স্মরণ এবং তার মত অকুতভয় ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অনুশীলন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন সতীর্থ সহকর্মীরা, বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক জুবায়ের জাকির, নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, পান্না বালা ও হাসানউজ্জামান। এর আগে নিহতের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
এছাড়া গৌতম দাসের স্ত্রী দিপালী দাসের উদ্যোগে দুপুরে ফরিদপুর শহরের শ্রীঅঙ্গনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বান্ধব পল্লীতে দরিদ্র শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়। এছাড়া গৌতমের ভাই-বোনদের উদ্যোগে ভাঙ্গার চন্ডিদাসদী গ্রামে পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পালন করা হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কের সংস্কার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সমকালে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্ধ হয় তৎকালীন বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদার গোষ্ঠি। চিহ্নিত ওই ঠিকাদারদের যোগসাযোসে তৎকালীন ক্ষমতাশীন দলের ক্যাডাররা পরিকল্পিত ভাবে সাংবাদিক গৌতম দাসকে হত্যা করে বলে প্রমানিত হয় আদালতে।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে দৈনিক সমকাল বু্রো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ব্যাুরো প্রধান গৌতম দাসকে। গৌতমকে হত্যা করার পর প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠে সাংবাদিকসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনতা। নিহতের সহকর্মী সাংবাদিক হাসানউজ্জামান ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে এ হত্যা মামলাটি ঢাকার দ্রতবিচার ট্রাইবু্নালে স্থনান্তর করা হয়। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রত বিচার ট্রাইবু্নালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।