রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার ৬ নং মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শ্রীপুর গ্রামের শত মানুষের পথ চলার রাস্তা কেড়ে নিতে নানান সমস্যা করছে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রজব আলী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় একযুগ আগে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হাজারও মানুষ।ভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে যে যেদিকে পেরেছে ঠাঁই নিয়েছে জীবন বাঁচানোর তাগিদে। সে সময়ের ভাঙ্গন কবলিত কিছু অংশের মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে জায়গা করে দেওয়া হয়েছিলো শ্রীপুর মৌজার ফসলি মাঠের অর্পিত জায়গার উপর। কিন্তু মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি তাদের যাওয়া আসার রাস্তা। যা এটি এখন বর্তমানে একটি গ্রাম বা পাড়া তৈরি হয়েছে। এই গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তাই হচ্ছে ফসলি জমির আইল। যা বৃষ্টি কাঁদার দিনে কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে এই কষ্টমাখা রাস্তা টুকুও কেড়ে নিচ্ছে ঐ একই গ্রামের রজব আলী নামের এক ব্যাক্তি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য সরেজমিনে যায় মিডিয়াকর্মীরা। সেখানেও মারমুখি হয়ে তেড়ে আসে রজব আলী ও তার লোকজন। তবে মিডিয়াকর্মীরা শান্ত হয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে কোন রাস্তা ছিলনা তাই আমি তাদেরকে কোন রাস্তা দিবনা। গ্রামের লোকজন যদি পারে আমার থেকে রাস্তা নিতে বলেন।
ঘটনার বিষয়ে আরও কিছু জানতে এলাকাবাসির সাথে কথা বললে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য।এলাকাবাসি বলেন গ্রামের মানুষের রাস্তা বন্ধের জন্য বহুদিন থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়ে আসছিল। এমনকি রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে রাখা, জমির আইল কেটে চিকন ও ছোট করে দেওয়া ইত্যাদি।অবশেষে রাস্তা বন্ধের জন্য কোন পরিমান জায়গা না রেখে ঐ জমির উপর পাকা ঘর নির্মান করছে যা সম্পুর্ন নিয়ম বর্হিভুত।আর এসকল দৃশ্যের চিত্র মিডিয়াকর্মীর চোখে সত্যতা মিলেছে। গ্রামবাসি আরও অভিযোগ করে বলেন, আজ যে জায়গায় ঘর নির্মান করছে সে জমিটা তার নয়। সে অন্যের জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান করছে। অবৈধভাবে ঘর নির্মান ও রাস্তা বন্ধ করছে মর্মে গত ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি ৯ নং ইউ পি সদস্য সুজা উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এই রজব আলী মানুষটা ভালনা। তার বিষয়ে কিছু বলতে গেলে সে (রজব আলী) আজেবাজে কথা বলে। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি সমাধান করার কিন্তু সে কারো কথাই মানেনা ও শোনেনা। তবে আমিও চাই এই গ্রামের মানুষগুলো ভুমিহীন এদরে চলাচলের রাস্তা হোক।
তবে এই বিষয়ে গোদাগাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে অামি বিষয়টি দেখবো। এরপর ঘটনাস্থল থেকে মিডিয়াকর্মীরা চলে আসে। কিন্তু কিছুক্ষন পরে এলকাবাসি গোদাগাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানা অভিযোগ নিচ্ছেনা বলে এলাকাবাসি জানায়।