ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সরকারিভাবে সীমিত সময় শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত কাপড়, কসমেটিক ও সেলুনসহ বিভিন্ন দোকানে শুরু হয়েছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণে উপজেলাব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেন প্রশাসন। এরপর উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় সামাাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ দোকানপাট ও যানবাহন সীমিত আকারে চলাচল করে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার লকডাউন শিথিল করলে গত কয়েকদিন যাবত সালথা সদর, বালিয়া বাজার, ঠেনঠেনিয়া, রসুলপুর, নকুলহাটি, সোনাপুর, রামকান্তপুর, কাগদি, মাঝারদিয়া, ফুলবাড়িয়া, যদুননদী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়েছে। তারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতাগন মাস্ক ব্যবহার করছেন না। মাছ ও মাংস বাজারের চিত্রও অনুরূপ। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বসানো হচ্ছে সাপ্তাহিক হাটবাজার।
এদিকে সারাদেশে করোনাভাইরাসে ক্রমেই মৃত্যু ও আক্রান্তে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মূহুর্তে অত্র উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। এরপরও কেউ সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৭ মে ২০২০