(ছবিতে সাংবাদিক গৌতম দাসের সমাধীস্হলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও স্হানীয় সংবাদকর্মীগন।)
নির্ভীক সাংবাদিক গোতম দাসের ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন হয়েছে। এ উপলক্ষে তার নিজ বাড়ী ভাঙ্গা পৌরসদরের চন্ডিদাসদী গ্রামে নানা কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়। সকালে সাংবাদিক গৌতম দাসের সমাধীস্হলে সাংবাদিকগন ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর গেীতম দাসের পরিবারের পক্ষ হতে তার সমাধীতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পাশেই আয়োজন করা হয় সাংবাদিক গৌতম স্মরনে আলোচনা সভা। সভায় গৌতম দাসের স্মৃতি চারন করে বক্তরা বলেন, সৎ নির্ভীক সাংবাদিক গৌতম দাসের হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু হত্যার কুশলিবরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে সরকারের কাছে দাবি তোলেন। এছাড়াও ভাঙ্গা কলেজ পাড় হতে আলগীর শেষ মাথা পর্যন্ত একটি সড়কের নাম সাংবাদিক গৌতম দাস সড়ক করা হলেও সেই নাম ফলকটি অজানা কারনে হারিয়ে যাচ্ছে। সেখানে স্হায়ীভাবে ভিত্তি প্রস্তুর নির্মাণের দাবিও তোলা হয়।
তারেক মাসুদ ফাইন্ডেশনের সভাপতি সরকারি কেএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোশায়েদ হোসেন ঢালির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুধীন সরকার মঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা মিয়ান আঃ ওয়াদুদ, সরকারি কেএম কলেজের সাবেক ভিপি শওকত হোসেন, শিবচর কলেজের অধ্যক্ষ বাবুল আশরাফ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আইয়ুব মোল্লা, সাংবাদিক পান্না বালা, নজরুল ইসলাম, মিজান বাবু, রমজান সিকদার, মামুনর রসিদ, উদীচি শিল্প গোষ্টির ভাঙ্গা শাখার সভাপতি বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কের সংস্কার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদার গোষ্ঠী। চিহ্নিত ওই ঠিকাদারদের যোগসাজশে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক গৌতমকে হত্যা করে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
গৌতম দাস দৈনিক প্রথম আলোর ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর তিন মাস আগে ২০০৫ সালের আগস্টে তিনি প্রথম আলো ছেড়ে দৈনিক সমকালের ফরিদপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।