ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার পানি আরও বেড়েছে।
বর্তমানে এই নদীতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। ইতিমধ্যে জেলা সদর থেকে চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় যাওয়ার সড়কটির কয়েক স্থান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
২য় দফায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, চরমাধবদিয়া, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফরিদপুরের বর্ধিত পৌর এলাকা সাদীপুর, ভাজনডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে শহরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে আতংক বিরাজ করছে শহরবাসীর মাঝে। জেলায় হঠাৎ বন্যার পানি প্রবেশ করায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে বিভিন্ন ফসলের। খেতে থাকা রোপা আমন, বোরো ধান এবং সবজীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে পাটও। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, দ্বিতীয় দফার এই বন্যার পানিতে জেলার ৩০টি ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে শহরে আসা সড়ক যোগাযোগ।
তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই দূগর্তদের মাঝে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছি। প্রস্তুত রয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবক টিম। এছাড়া যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে পদ্মা ও মধুমতি নদী ছাড়াও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর, চরভদ্রাসন ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো কয়েকটি গ্রাম। এই চারটি উপজেলার ৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য ও বিশুদ্ধ খবার পানির সংকট।