জামালপুরের বকশীগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনটি এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তিনটি এলাকায় শিগগিরই মানুষের চলাচলে সীমিত করা হবে।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ৪৭ জন নারী-পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৯ জন সুস্হ্য’ হয়েছেন। এর মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার নামাপাড়া, মালিরচর মন্ডল পাড়া, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বীরগাঁও, বগারচর ইউনিয়নের সারমারা এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি ছিল।
মানুষের স্বাস্হ্য বিধির কথা চিন্তা করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ১৬ জুন রেড ও গ্রীন জোনের ম্যাপিং করা হয়।
ম্যাপিংয়ে বকশীগঞ্জ পৌরসভার নামাপাড়া, মালিরচর মন্ডল পাড়া ও বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বীরগাঁওকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়াও সাধুরপাড়া, নিলাখিয়া,মেরুর চর ও বগারচর ইউনিয়নকে গ্রীন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে ধানুয়া কামালপুরকে জোনের বাইরে রাখা হয়েছে।
এদিকে ওই তিন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করার পর শিগগিরই এসব এলাকায় মানুষের চলাচল সহ বিভিন্ন ভাবে শিথিলতা নিয়ে আসার চিন্তা করছে স্হানীয় প্রশাসন।
তবে বগারচর ইউনিয়নের সারমারা এলাকায় একই পরিবারের ১০ জন আক্রান্ত হলেও ওই এলাকাকে রেড জোনের আওতায় আনা হয় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী জানান, মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে করোনা সংক্রমণ রোধে বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেড ও গ্রীন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অবিলম্বে এই সব এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে করোনার ঝুঁকি কমানো হবে।