আশংকাজনক হারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে ইতালিতে বড়দিনকে সামনে রেখে তিন সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে নাপোলিসহ ক্যাম্পানিয়া বিভাগের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সব ধরনের উৎসবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সবশেষ একদিনে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার অতিক্রম করেছে। রাজধানী রোম, বন্দরনগরী নাপোলি এবং উত্তরাঞ্চলের বিভাগগুলোতে অনেক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দিনের ছুটিতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ লকডাউন দেয়া উচিত। তবে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেছেন, তিনি আগাম কিছু বলতে চান না। লকডাউন দেয়া হবে কিনা তা নির্ভর করবে নাগরিকদের ওপর।
ইতালি প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন, ‘ক্রিসমাসে লকডাউন হবে কিনা তা আমি এখনই বলতে পারব না, সবকিছু নাগরিকদের উপর নির্ভর করে। এই যুদ্ধে হয় একসাথে জিতব না হয় একসাথে হারবো। তাই আমি শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাই বলবো।’
আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে বাংলাদেশিসহ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলছেন, ‘আমরা এখানে পরিবার নিয়ে যারা আছি ভীত এবং সংকটাপন্ন আছি। পাশাপাশি ইতালি বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত জানতে পারি যে আবারো লকডাউন দেওয়া হবে ইতালিতে। অঞ্চলভিত্তিক নগরায়নের কাছে যা শোনা যাচ্ছে, এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। করোনা নিয়ে আমরা হতাশায় আছি।’
নতুন করে লকডাউনে গেলে ইতালির অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক ক্ষতি হবে শুধুমাত্র পর্যটন খাতে ।
এদিকে ২০২১ সালের প্রথমদিকে ইতালিতে ভ্যাকসিন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ইতালিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি আইফার প্রেসিডেন্ট দুমেনিকো মান্তুয়ান। শুরুতেই সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব না হলেও স্বাস্থ্য কর্মী এবং বয়স্করা প্রাধান্য পাবে বলেও জানান তিনি।