• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ভাঙ্গায় ভুয়া সনদ দিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি

মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)সংবাদদাতা-১৮/৬/২২
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ১৭নং ছুলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া সনদ দাখিল করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিবার্চিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৩ তারিখে উক্ত স্কুলটির সভাপতি হিসাবে নিবার্চিত হন মোঃ ইমদাদুল হক। সেসময় তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের সনদ স্কুলটিতে দাখিল করেন। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের সেপেম্বর মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিবার্চিত হয়ে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকদের উপর নানা ধরনের নির্যাতন শুরু করেন। একই সাথে নারী শিক্ষিকারও তার হাতে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত হয়। তার আচার ব্যবহারে শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার মান দিন দিন অবনতি হতে থাকে। অশিক্ষিত সাধারন গ্রাম্য মানুষের মত আচরন করায় এলাকাবাসি ও কতর্ৃপক্ষ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তর এক পর্যায় বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। তার জমা দেওয়া সনদে মোঃ ইমদাদুল হক, অনার্স চতুর্থ বর্ষ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান যার রোল নং-৪২৫৪০৭ রেজি নং-২৭১৩৪৪, শিক্ষাবর্ষ ২০০৩-৪ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের সনদটি দাখিল করে। পরবতর্ীতে অন লাইনে উক্ত নম্বরে পরীক্ষা করে দেখা যায়
তার সনদটি যশোর ক্যান্টেমেন্ট কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের হোসেনই আলী খানের একটি সনদ। মোঃ ইমদাদুল হক ঐ সদনটি কম্পিউটারের দোকান থেকে হুবহু নকল করে জাল সনদ তৈরী করেন। এর পর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের সাহায্যে সত্যায়িত করে বিভিন্ন দপ্তরে
দাখিল করে। বিষয়টি জানাজানি হলে নওেচড়ে প্রশাসন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সি রুহুল আসলাম জানায়, জনাব ইমদাদুল হকের আচরন শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েও সে স্কুলের নিয়ম বহিভুর্ত নানা আচরন করেছেন শিক্ষকদের সাথে। তাছাড়া এখন প্রমানিত হয়েছে যে সে ভুয়া সনদ দাখিল করে সভাপতি নিবার্চিত হয়েছে। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গ্রাজুয়েট ছাড়া কেহই সভাপতি নিবার্চিত হতে পারবেনা বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে জনাব ইমদাদুল হক ভুয়া সনদ দাখিল করে সভাপতি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নিবাহর্ী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন জানায়, এই আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় ভুয়া কোন কিছুই বেশী সময় টিকে থাকতে পারেনা। সে অনেক বড় অপরাধ করেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মোঃ ইমদাদুল হকের সাথে সরাসরি দেখা করতেমচাইলে তিনি দেখা করেনি। পরবতর্ীতে মুঠো ফোনে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা। আমি ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছি। আমাকে একটু সময় দেন আমি বিষয়টি সুরাহা করে দিবো। আর ইতিমধ্যেই আমি উপজেলায় একটি দরখাস্ত দিয়েছি আমার সভাপতি পদ থেকে অব্যহতির জন্য।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি ও শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের দাবি শিক্ষা প্রতিষ্টান নিয়ে জাল জালিয়াতি খুবই মারাত্মক অন্যায়। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি সহ প্রত্যারক চক্রের মুল হোতাকে আটকের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।