ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ। ওই নির্বাচনকে ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘন করে এলাকায় ব্যপক গণসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ কাউছার।
উক্ত এমপি চরভদ্রাসনে প্রবেশ করে তার সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার আলী মোল্যার পক্ষে সরাসরি ভোট চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। যদিও ওই সাংসদের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো. কাউসার মোল্লা জানান, সোমবার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন সচিব, জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর, পুলিশ সুপার, ফরিদপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এ বছর উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পরের দিন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাউছার বেপারীর গাজীরটেক ইউনিয়নের চরহোসেনপুর গ্রামের বাড়ীর আঙিনায় স্হানীয় এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) তার সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার আলী মোল্যার পক্ষে ভোট চেয়ে সাধারনদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। একই দিন সন্ধায় উক্ত ইউনিয়নের চর অমরাপুর গ্রামের অবঃ ইঞ্জিনিয়ার নিজাম উদ্দিনের বাড়ীতে বসে স্হানীয়দের সাথে সভা করেছেন বলেও অভিযোগ। এরপর ওই সাংসদ দিনের পর দিন বহাল তবিয়তে তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে গণ সংযোগ করে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সর্বশেষ মঙ্গলবারও গাজীরটেক ইউনিয়নের ছিটাডাঙ্গী গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে এবং গফুর মৃধার ডাঙ্গী গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী মো. আনোয়ার মোল্লাকে সাথে নিয়ে সাংসদ জনসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেন।
যদিও ভোট প্রার্থনা বা নির্বাচনী প্রচারনার কথা অস্বিকার করে ওই সংসদ সদস্য জানান, “ এলাকার মুরুব্বিদের কবরস্হান জিয়ারতের জন্য আমার পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম ছিল, তাই কবর জিয়ারতের কাজে এলাকায় ঘুরেছি”। কোন ধরণের ভোট প্রার্থনা করিনি।
সোমবার সকাল ১০ টায় নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পত্রের ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “ আমি ঢাকা ছিলাম, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি”। আর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ অভিযোগ পত্র পাওয়ার সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য আমরা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ব্যপারে উর্দ্ধতনরা সিদ্ধান্ত নিবেন”।