খুলনা মহানগরীতে অবস্থিত রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুর রকিব খান (৫৯) হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা এবং খাদিজাকে গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার(১৬জুন) রাতে আব্দুর রহিম নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন,খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির।
গত বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনার বিবরনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য,খুলনা মহানগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী শিউলী বেগমকে (১৪ জুন) সিজারের জন্য নগরীর রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ঐ দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে (১৫ জুন) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ(খুমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত শিউলী বেগমের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে রাইসা ক্লিনিকের
পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুর রকিব খান (৫৯)কে আক্রমন করে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে নগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে (১৬ জুন)চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়,গ্রেফকৃতদের মধ্যে নিহত রোগী শিউলী বেগমের ভাই জমির,স্বামী আবুল আলী,ভাবী খাদিজা ও চাচা গোলাম মোস্তফা রয়েছেন।