মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে এম মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা সৃষ্টি করে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে থাকা কিছু শিক্ষার্থীরা। পরে সালথা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল ১৭ নভেম্বর ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৪) ও একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রাকিব শেখ (১৬) এর সাথে উক্ত বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার সিড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাসানুজ্জামান। তাকে দেখে ঘটনা স্থল থেকে রাকিব শেখ দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় মেয়েটিকে প্রধান শিক্ষক এ.কেএম মহিউদ্দিন(৫৪) এর জিম্মায় তার অফিস রুমে রাখা হলে আনুমানিক ৫/৭ মিনিট পরে কান্নাজড়িত অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার কর (৪৪) মেয়েটিকে বাড়ি পৌছে দেয়।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের পন্ডিত শিক্ষক মিনু রানী বিশ্বাস বলেন, ঐ ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে কান্না জড়িত কন্ঠে বের হয়ে আমাকে বলেন, স্যার আমার সাথে খুব খারাপ আচরন করেছে। জোড়পুর্বক আমার শরীরে হাত দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবার ০১৭৮২ ৯৫৩৬৫০ মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এ.কেএম মহিউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দেব না।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেছে, এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৮ নভেম্বর ২০২৪