কাজের সফল বাস্তবায়নই এনে দেয় কাজের সফলতা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তার সফল কার্যক্রমের ঝুড়ি বড় করে ফেলেছেন নওগাঁর সাপাহার-পোরশা উপজেলায় কর্মরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহরাব হোসেন। দুই উপজেলার ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা তার দুই কার্যালয়ের কার্যক্রম ঠিক রেখেই তিনি ভারী করেছেন তার অর্জনের ঝুড়ি। ভূমি অফিসের কাজের গতি এনে স্থানীয় জনগণের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সাপাহার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) হিসাবে যোগদান করেন তিনি। পদ খালি থাকায় পরবর্তীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে পোরশা উপজেলা ভূমি অফিসের ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেন। আর এতেই তিনি বদলে ফেলেছেন উপজেলা দু’টির কার্যক্রম। দিয়েছেন তিনি তাঁর মেধা ও যোগ্যতার পরিচয়। একই সঙ্গে দুই উপজেলার দায়িত্ব থেকেও এক ঝাঁক কর্মচারীকে নিয়ে জমিজমা সংক্রান্ত অফিস কার্যক্রমের আমুল পরিবর্তন করেছেন তিনি। সঠিক কাজ না পেয়ে কেউ যেন ঘুরে যায়না তার অফিস থেকে। অফিসারের এই কার্যক্রমে সন্তুষ্ট সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।
উপজেলা দু’টিতে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে জনগণকে দিনের পর দিন অফিস ঘুরতে ও হয়রানী হতে হয়না বলে জানালেন অনেকেই। করোনার এই মহামারীতে বসে নেই তিনি। জনগণকে সচেতন করতে যেমন ছুটেছেন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে তেমনই সফল হয়েছেন সরকারের রাজস্ব আদায়ে। তার এ অগ্রযাত্রাকে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় তহশীল অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। এছাড়াও মহাদুর্যোগ করোনায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবেও কাজ করছেন নির্ভয়ে। সাপাহারের জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল্লাহ্ শাহ্ জানান, বর্তমান ভূমি কর্মকর্তার দূরদর্শী কাজের জন্য আমরা সাপাহারবাসী তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি সাপাহার ভূমি অফিসের দায়িত্ব নেয়ার পর জালবাজ, ভূমিদস্যু ও দালালদের দৌরাত্ব কমেছে। এ উপজেলার ভূমি কার্যালয়ে এসে মানুষ সঠিক কাজটি পাচ্ছেন বলেও তারা জানান।
পোরশা ভূমি অফিসে সেবা নিতে আশা মোবারক আলী ও আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা বিগত সময়ে ভূমি অফিসে বিভিন্ন কাজে এসে সহজে কাজ পায়নি। বরং দালালদের মাধ্যমে কোন কাজ নিতে খরচ করতে ও ঘুরতে হয়েছে অনেক। বর্তমান কর্মকর্তা নিয়মমাফিক যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করায় আমরা এখন ভূমি সংক্রান্ত যে কোন কাজ সঠিক সময়ে সহজেই পাচ্ছি এবং সরকারী খরচ ছাড়া অতিরীক্ত কোন টাকা খরচ হচ্ছেনা বলে জানালেন তারা। এই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে ভূমি অফিস দালাল, ঘুষ ও দূর্নীর্তি মুক্ত হয়েছে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) সোহরাব হোসেন বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করছি। সরকারী আইন-কানুন ও বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক নওগাঁ জেলা প্রশাসকের দিক নির্দেশনা আর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী ও পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজার পরামর্শ নিয়ে ভূমি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও কাজ করছেন বলে জানান। তিনি গত এক বছরের মুল্যায়ন সম্পর্কে বলেন, তার কাজে সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছিল। যা তাকে কাজের উৎসাহ যুগিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে আগামীতেও সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে ভূমি সংক্রান্ত কাজের ধারাবাহিকতা রেখে সবার কল্যাণে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি ভূমি সংক্রান্ত ব্যাপারে তার কর্মস্থলকে মডেল হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।