নিরঞ্জন মিত্র( নিরু),,ফরিদপুর
দীর্ঘদিন পরে দিশা সাহা আজ অপহরণের দায়মুক্তি নিয়ে ধর্মান্ত্রর হয়ে ফাতেমা আক্তার নামে স্বামীর ঘরে চলে যায়। প্রেমের টানে এক মুসলমান যুবকের সাথে পালিয়ে দুজনে বিয়ে করে। ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর গ্রামের কালাম মৃধা জেলার কামারখালি এলাকার দিপক কুমার সাহার মেয়ে দিশা সাহা কে অপহরণ করে নিয়ে যায় এমন অভিযোগে করে মেয়েটির বাবা। এবিষয়ে গত ১৪ জুন জেলার মধুখালী থানায় মেয়েটির বাবা দিপক সাহা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী দিশাকে কলেজে যাতায়াতের পথে বিরক্ত করতো কালাম মৃধা। এবছর ১৪ জুন ছেলেটি ও তার সঙ্গীয় লোকজন মেয়েটিকে অপহরন করে নিয়ে যায় এমন অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা।
দীর্ঘ চার মাস পরে সোমবার সকালে মেয়েটি ছেলেটিকে সাথে নিয়ে নিজেই মধুখালী থানায় হাজির হয়। অপহৃত দিশা সাহা থানায় হাজির হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি কালাম মৃধাকে ভালবাসার সম্পর্ক করে পালিয়ে দুজন বিয়ে করি। বর্তমানে আমি মুসলমান হয়ে আমার আগের নাম পরিবর্তন করে ফাতেমা আক্তার হয়ে স্বামীর সাথে সংসার করছি। আমার বাবা আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করায় আজ তা মোকাবেলা করতে স্বামীকে নিয়ে থানায় এসেছি।
মধুখালী থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়ের বাবার করা অপহরন মামলায় মেয়েটি স্বইচ্ছায় আজ সোমবার সকালে থানায় হাজির হয়। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দ্বারা মেয়েটিকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার জানান, দিশা সাহা ১৮ বছর পার করায় তার স্বইচ্ছায় এভিডেভিড করে ধর্মান্তর হয়ে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী একটি মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করেছে। কেউ তাকে অপহরণ করেনি। এখন থেকে সে স্বামীর সংসার থাকবে এই মর্মে ২২ ধারা জবানবন্দি দিলে ফরিদপুর চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাদিয়া ইসলাম মেয়েটিকে তার নিজ জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন। সোমবার বিকেলে আদালত থেকে বের হয়ে মেয়েটি তার স্বইচ্ছায় স্বামীর সাথে স্বামীর বাড়ি চলে যায়।