কভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বিশ্বব্যাপী। রোগটির সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ আবিষ্কার না হওয়ায় উপসর্গভিত্তিক (সিমটোমেটিক) চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর ধারাবাহিকতায় বেড়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো অ্যাজিথ্রোমাইসিন। ফলে ওষুধটির বিক্রিও বেড়ে গেছে দেশে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনকারীদের মধ্যে অন্যতম এ প্রতিষ্ঠান চার ক্যাটাগরিতে অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রস্তুত করে—ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ড্রাই পাউডার ফর সাসপেনশন ও ইনজেকশন। তাদের দেয়া তথ্য বলছে, করোনাকালে এ অ্যান্টিবায়োটিকটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের উৎপাদনও বাড়াতে হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে মোট বিক্রয়কৃত ওষুধের ৫-৮ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি হতো অ্যাজিথ্রোমাইসিন। কিন্তু করোনাকালের শুরুতে মার্চ মাসে এ ওষুধটির বিক্রি বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৫ শতাংশে। এপ্রিলেও একই ধারা বজায় ছিল। বর্তমানেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশিই বিক্রি হচ্ছে ওষুধটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু স্কয়ার নয়, বাড়তি চাহিদার কারণে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের বিক্রি বেড়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোরও।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাকালে অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ওষুধ সেবনের প্রবণতা আগের তুলনায় বেশ বাড়ার ফলে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও উৎপাদন বাড়িয়েছে। এখনো প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের চাহিদার প্রেক্ষাপটে ওষুধ উৎপাদন বাড়িয়ে-কমিয়ে নিচ্ছে। মূলত নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ার ফলে ক্রেতারা ফার্মেসিগুলোতে অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ওষুধটি কিনতে ভিড় জমান। অ্যাজিথ্রোমাইসিনের পাশাপাশি ডক্সিসাইক্লিন অ্যান্টিবায়োটিকও প্রচুর বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস হেড অব স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট এমএম আসাদ উল্লাহ এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, যদিও প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিয়ম নেই। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে যেগুলো প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো ডক্সিসাইক্লিন। এ কারণে এ ওষুধটির বিক্রি বেড়েছে। অনেক কোম্পানি ওষুধটির উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল। নতুন করে চাহিদা দেখা দেয়ায় তাদেরও ফের উৎপাদন চালু করার বিষয়টি ভাবতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন হলো আরেকটি প্রটোকল। চিকিৎসকদের তরফ থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি ওষুধটির চাহিদা বেড়েছে। আইভারমেট্রিন প্লাস ডক্সিসাইক্লিন এবং আইভারমেট্রিন প্লাস অ্যাজিথ্রোমাইসিন দুই ধরনের প্রটোকল। অনেকে অ্যাজিথ্রোমাইসিনটা বেশি পছন্দ করে। বিশেষজ্ঞ চিকিত্করাও অ্যাজিথ্রোমাইসিনটাই বেশি দিচ্ছেন ব্যবস্থাপত্রে। এটি প্রেসক্রাইভড মেডিসিন হলেও বাংলাদেশে যে কেউ কিনতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে এ ওষুধটির প্যানিক সেল হয়েছে। যারা রোগে আক্রান্ত না, তারাও কিনে বাড়িতে রেখে দিয়েছে।
খুলনা শহরের বয়রা এলাকার বাসিন্দা আনিসুল ইসলাম রাইয়ান। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এক বড় ভাইয়ের পরামর্শ আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী অ্যাজিথ্রোমাইসিন সেবন শুরু করেন। কভিড-১৯-এর প্রতিরোধের সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই জেনেও কিছুটা উপশম পেতে টানা ১০ দিন সকাল ও রাতে অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করেন তিনি।
কোনো ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এভাবে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করাটা ঠিক হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তখন আসলে করোনা থেকে কীভাবে মুক্ত হব এ চিন্তাই কাজ করেছে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক খেলে পরে এ ওষুধ আর কাজ না-ও করতে পারে, এমনটা আসলে মাথায় ছিল না।পরিস্থিতির কারণে অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ওষুধ সেবনে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি এবং ব্যবহারে বিধিনিষেধ থাকলেও করোনাকালে সেটা যেন অনেকটা শিথিল হয়ে এসেছে। গ্রামেগঞ্জে অহরহ ব্যবহার হচ্ছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক। শহরেও অনেকে যথেচ্ছা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শুরু করেছেন। এমনও অনেক চিত্র দেখা যাচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এমন অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে ফার্মেসিগুলোতে আসছেন ক্রেতারা। ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চাহিদা জানাচ্ছেন তারা। ফার্মেসিগুলো না দিতে চাইলে বিক্রেতাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে কিনছেন অ্যান্টিবায়োটিক। পরিবারের সবার জন্য বাড়িতে মজুদ করছে এসব ওষুধ।
রাজধানীর শাহবাগ, পান্থপথ, গ্রীনরোড ও কারওয়ান বাজার এলাকার বায়োমেড, হেলথ অ্যান্ড হোপ ফার্মা, হক ফার্মা, সেফ ফার্মা, তাজ ফার্মা, বেস্ট ওয়ান ফার্মা, আল-বারাকা ফার্মাসহ কমপক্ষে ২০টি ওষুধের দোকানে কথা বলে জানা যায়, ঠাণ্ডা ও হাঁপানিজনিত নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস ও অ্যালার্জির ওষুধের বিক্রি বেড়েছে। শরীরে নানা ধরনের ‘প্যারাসাইট’ আক্রমণ প্রতিহত ও ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ প্রতিরোধ করে এমন অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা এখন বেশ বেশি। প্যারাসিটামল, ভিটামিন-সি, জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এমন সম্পূরক ওষুধেরও কাটতি দিন দিন বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে চাহিদা বাড়ার সুযোগে ডক্সিসাইক্লিন, রেমডেসিভির, আইভারমেট্রিন কিংবা হালের করোনা ট্রিটমেন্টে যোগ হওয়া ফেভিপিরাভির মেডিসিনের সঙ্গে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে গ্রীনরোডের বেস্ট ওনার ফার্মার বিক্রেতা মোহাম্মদ ইউছুপ বণিক বার্তাকে বলেন, অনেকে আসেন একটা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে অনেকগুলো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে। নির্দেশনা আছে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হলে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখিত সংখ্যার বেশি দেয়া যাবে না। তাই আমরা দিই না।
এ বিক্রেতা বলেন, মাঝে একটা সময় ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের মেডিসিন বেশি চললেও এখন অ্যাজিথ্রোমাইসিনের ক্রেতা বেশি। বলতে গেলে আগের তুলনায় এখন এসব ওষুধ ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি চলে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উদ্যোগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ওপর একটি জরিপ (চলমান) পরিচালনা করছেন আইইডিসিআরের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাকির হোসাইন হাবিব। করোনা আসার আগে পরিচালিত এ জরিপের আংশিক ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ সময়ে অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিকটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকত ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে। ৩৩ শতাংশ ডায়রিয়া রোগীকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকতেন চিকিৎসকরা।
এখন নিউমোনিয়াজনিত রোগের জন্য যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহার হচ্ছে, করোনার আগে এ হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাৎ করোনাকালের আগে সর্দি-কাশি বা জ্বরের জন্য এ অ্যান্টিবায়োটিকটি খুবই সামান্য পরিসরে ব্যবহার হতো। এছাড়া জরিপের ফলাফল থেকে জানা যায়, সেপ্টেসেমিয়া বা রক্তদূষণের রোগীদের ৩ শতাংশ ও মূত্রনালির সংক্রমণজনিত কারণে ১২ শতাংশ রোগীদের অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকরা।
এদিকে মূলত ক্লান্তি, মাংস-পেশিতে ব্যথা, গলা ও মাথা ব্যথা, জ্বর, শুষ্ক কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার মতো লক্ষণ থাকলেও ওষুধ কিনছেন মানুষ। প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকরা কভিড-১৯ রোগীদের উপশম করে এমন যেসব ওষুধের কথা লিখছেন, মূলত সেগুলো শুনেই অনেকে দোকানে আসছেন। এ ওষুধগুলোর চাহিদা জানিয়ে কিনতে চাইছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা কখনো ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে নিয়ে আসছেন। আবার কখনো ফার্মেসিগুলোকে রোগীর অবস্থা খারাপ বলে বা টেলিমেডিসিনের কথা বলে অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা জানাচ্ছেন। আজকাল দোকানে অন্য সময়ের তুলনায় মানুষের ভিড় খুব বেশি না বাড়লেও প্রকৃত ক্রেতারা আসছেন বলে জানান বিক্রেতারা।
এমন কথাই বলেছেন কারওয়ান বাজারের আল-বারাকা ফার্মেসির মাসুম বিল্লাহ। তিনি বণিক বার্তাকে জানান, আগে আমি দোকানে মাসে ১০ প্যাকেট অ্যাজিথ্রোমাইসিন বিক্রি হলে এখন সেটা ১০০ প্যাকেট চলে। অনেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া করোনা চিকিৎসায় কাজে আসে এমন ওষুধ নিতে আসে। অনেকে আবার একটা ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ নিতে এসে পরিবারের সবার জন্য ওষুধ চেয়ে বসছেন। উদ্বিগ্নতা আর অজ্ঞতার ফলে এমন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ডক্সিসাইক্লিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সঙ্গে রেমডেসিভির ও ফেভিপিরাভির মতো ওষুধের চাহিদা বাড়ছে বলে জানান তিনি। তবে করোনাকালের শুরুর সময় থেকে এখন মানুষ কিছুটা বুঝেশুনে ওষুধ কিনছেন বলে উল্লেখ করেন এ বিক্রেতা।
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সায়দুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাপক ব্যবহার আগেও আমাদের দেশে ছিল। মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা সম্ভব হয়েছিল। এখন পরিস্থিতির কারণে সেটা আবার ব্যাপকভাবে ফিরে এসেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো গবেষণা না থাকায় ঠিক কী পরিমাণে এটা বেড়েছে, সেটার ব্যাপারে জানেন না বলে মন্তব্য করেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এ অবস্থার পেছনে কিছু ডাক্তার ও রোগীদের পাশাপাশি মিডিয়ার ভূমিকাকে দায়ী করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে করোনা চিকিৎসার বিষয়টি ব্যাপকভাবে না এলেই ভালো ছিল। মানুষ গণমাধ্যম ছাড়া সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবেও ওষুধ কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠার ফলে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বাড়লে কী হতে পারে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বণিক বার্তাকে বলেন, শরীরে কিছু অর্গানিজম থাকে। যদি আপনি বেশি অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন বা দরকার না থাকলেও নেন, তখন সেই অর্গানিজম অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। নির্দিষ্ট সেই অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা আপনি বেশি খেয়েছেন, সেটা কার্যকারিতা হারায়। এরপর আপনার যখন সত্যিই কোনো প্রদাহ তৈরি হবে, তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না, অথবা আংশিক কাজ করবে। এজন্য অ্যান্টিবায়োটিক যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। তবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতার পাশাপাশি রোগী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে বলে মনে করেন এ প্রবীণ চিকিৎসক।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস অ্যাডহ্যানম গেব্রিয়াসিস এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কভিড-১৯-এর কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারের কারণে মহামারী ও মহামারীর পর মৃত্যুহার বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হুমকি মোকাবেলায় মাত্র কিছুসংখ্যক কভিড-১৯ রোগীর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন।
সংস্থাটি চিকিৎসকদের জন্য ইস্যু করা দিকনির্দেশনায় যেসব রোগীর মৃদু উপসর্গ কিংবা অল্প অসুস্থতা রয়েছে তাদের অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়ার কথাই বলেছে। অ্যান্টিবায়োটিক সঠিকভাবে ব্যবহার না করার বিষয়টিকে তুলে ধরে তিনি বলেন, কিছু দেশে এটি বেশি বেশি ব্যবহূত হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশ, যেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সহজলভ্য নয়। সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় দুর্ভোগ এবং মৃত্যুহারও বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সুত্র:বণিক বার্তা