হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ঢুকে রোগীর স্বজনকে প্রকাশ্যে কোঁপানোর মামলার খালাস পেলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেবাশীষ নয়ন। উভয় পক্ষের আপোষে এ খালাস প্রদান করা হয়।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক তরুণ বাছাড় এ রায় দেন।
সন্ধ্যায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুর রহমান উজ্জ্বল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবাদী পক্ষের এ আইনজীবী বলেন, বিবাদী পক্ষের সাথে বাদী পক্ষের আপোষের ভিত্তিতে বিচারক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নসহ এ মামলার সাথে জড়িত সকল আসামিকে খালাস দেন।
এর আগে এ আলোচিত মামলায় ছাত্রলীগের এ নেতা উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের আগাম জামিনে ছিলেন। পরে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই আদালত থেকে জামিনে ছিলেন তিনি। পরে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিবাদী পক্ষের সাথে আপোষের মাধ্যমে আদালত থেকে খালাস পেলেন।
দেবাশীষ নয়ন (৩২) ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লায় বসবাস করেন। তার বাড়ি সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে। তিনি ফরিদপুর সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি (প্রাইভেট) পাস করেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের পুরাতন কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরের হরিসভা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম আহমেদের স্ত্রী হীরা বেগম ফরিদপুর জেনারেল (সদর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখ বুধবার রাতে কর্তব্যরত নার্স ইলার শিকদারের সঙ্গে ফাহিম আহমেদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নার্স দেবাশীষ নয়নকে খবর দিয়ে ডেকে আনেন। দেবাশীষ নয়ন হাসপাতালে এসে ফাহিম আহমেদের বুকে ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। পরে ইলা ও দেবাশীষ নয়ন পালিয়ে যান বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরপর মারাত্মক আহত অবস্থায় ফাহিম আহমেদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ফাহিম আহমেদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নার্স ইলা শিকদার ও দেবাশীষ নয়নকে আসামি করে মামলা করেন। পরে উভয় পক্ষের আপোষের মাধ্যমে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে খালাস পেলেন ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নসহ এর সাথে জড়িতের অভিযোগ উঠা হাসপাতালটির নার্স ইলা শিকদার।