ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, শিশু রাসেলের মাঝে ছিল বঙ্গবন্ধুর কৈশোরের প্রতিচ্ছবি। ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা কৈশর দেখেই বোঝা যায়। অনেক সময় অনেক ফুল ফোটার আগেই ঝরে যায়। শেখ রাসেল সেই কাতারের। শিশু রাসেল ছিলেন দুরন্ত এবং প্রতিভাধর। প্রতিটি বাঙালির হৃদয় মাঝে শিশু শেখ রাসেল চিরদিন বেঁচে থাকবেন ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এবং ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলসহ জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যকে যারা হত্যা করেছে তারা মানুষরূপী দানব। জাতির পিতার রক্তের কেউ বেঁচে থাকুক দানবরা তা চায়নি। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনই হবে এবারের শেখ রাসেল দিবসের অঙ্গীকার। প্রতিমন্ত্রী মানবিকতা, মানুষের অধিকার এবং রাজনীতি সম্পর্কে জানতে সকলকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। শেখ রাসেল এর জন্মদিনের এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব
মোঃ এহছানে এলাহী। শ্রম আপিল ট্রাইব্যূনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক, অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতার, বেগম জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সুলতান মাহমুদ, যুগ্মসচিব মোঃ নান্নু মোল্লাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী সকল শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।