সনতচকবর্ত্তী ফরিদপুর :
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই দেখা মেলে হরেক রকম পন্য বিক্রেতার।জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়।তাদের জীবনের সংগ্রাম যেন শেষ হয় না।সকাল হলেই প্রতিদিন গ্রামের পর গ্রাম ছুটে চলেন ইয়াছিন আরাফাত ।বাই সাইকেলের ওপর নির্বাহ করে ভ্রাম্যমাণ দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র সাজিয়ে নিয়ে তা ফেরি করে বিক্রি করেন তিনি। তার ভ্রাম্যমাণ সাইকেলের দোকানে পাওয়া যায় সিলভারের হাড়ি, পাতিল, প্লাস্টিকের বাটি, ডালা, লবণদানি, বদনা, টুল, লোহার দা, বটি, বাচ্চাদের খেলনা ও কসমেটিক্সসহ প্রায় ৫০ প্রকারের জিনিস।
ইয়াছিন জানান, বছর পাঁচেক আগে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে সংসার চালাই এবং পাশাপাশি পড়ালেখা করি কিন্তু করোনার কারনে কাজ আয় কম হওয়ার ছেড়ে চলে আসি । বসে না থেকে আরম্ভ করি হরেক রকম পন্যের নতুন এ ব্যবসা। জীবন-জীবিকার তাগিদে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীর সৈয়দপুরে গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
ইয়াছিন আরাফাত চুয়াডাঙ্গা জেলার ডামুরহুদা উপজেলা ঠাকুরপুর গ্রামের আলী গোলদারে ছেলে। তারা ৩ ভাইবোন। বাবা মায়ের সব দায়িত্ব নিজেই বহন করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি এস এস সি পাশ করে আই এতে ভর্তি হয়ে আর পড়াশোনা হয়নি। সুযোগ পেলে পড়ালেখা চালিয়ে নিবো।
অল্প পুঁজি নিয়ে তারা প্রায় ১০ জন ঢাকার চক বাজার হতে পাইকারী মাল এনে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ফেরি করে বিক্রি করেন। প্রত্যেকের একটি করে নিজস্ব বাইসাইকেল বাহন থাকায় বেঁচে যায় যাতায়াত খরচ। ফলে লাভের বেশিরভাগই সঞ্চয় থাকে বলে জানালেন ইয়াছিন আরাফাত।
তিনি আরও জানান, এ ব্যবসায় বেচাকেনা ভালোই হয়। তার অধিকাংশ ক্রেতাই গ্রামের মহিলা। যারা কেনাকাটার জন্য বাজারে যায় না। তারাই তার কাছ থেকে নানা জিনিসপত্র কিনে থাকেন। অন্যান্য ব্যবসার মতো তাকেও বাকি দিতে হয়। তবে তিনি লোক চিনে বাকি দেন। যাদের লেনদেন ভালো তাদেরকে বাকি দিতে তিনি কার্পণ্য করেন না। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করেন যান। একই গ্রামে প্রতিদিন যাননা। অন্তত ১৫ দিন পর পর এক গ্রামে যান। এতে বিক্রি ভালো হয়।
এ ব্যবসা থেকে তার প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়। বিশেষ করে দুই ঈদ ও পূজার সময় তার বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি হয়। তিনি জানালেন সংসারে মা,বাবা,ভাই বোনদের নিয়ে এখন তার দিন ভালোই কাটছ।