সারাবিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এরইমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ববাসী।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন প্রতিষেধক আবিষ্কারের। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গত ১৮ মার্চ একজন মারা গেছেন।
এই করোনা ভাইরাসের অন্যতম একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। কিন্তু জ্বর হলেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না-করার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী। দেবীশেঠীর মতে, অতিরিক্ত পরীক্ষা ভবিষ্যতে বিপদ বাড়াবে। কারন চাহিদার তুলনায় করোনার পরীক্ষার কিট অপ্রতুল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রখ্যাত এই চিকিৎসকের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তিনি শিক্ষিত সমাজের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন- গুরুতর উপসর্গ প্রকাশ না-পেলে, শুধু মনের ভয় দূর করার জন্য যেন কেউ করোনা পরীক্ষা না করে। বরং আগে নিজের উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং খারাপ কিছু মনে হলে, তারপর পরীক্ষা করাতে হবে।
দেবী শেঠী বলেন , যদি কারো ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেশন করে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে। সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথায় যন্ত্রণা হবে। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথার যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে পেটের সমস্যা থেকেই যাবে। অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনা-আশঙ্কা নেই।’
দেবী শেঠী পরামর্শ দিয়েছেন, ‘এক্ষেত্রে আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরো খারাপ হয়, করোনা-হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।’