• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
রাজশাহীর বাঘায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত  হয়েও , বন্ধ হয়নি পুকুর খনন! 

সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট,বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ-সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা, কিছু অসাধু ব্যক্তিদের নেশায় পরিনত হয়েছে । সাময়িক লাভের আসায় ভবিষ্যত পরিবেশ নষ্ট করছে তারা। রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ফসলের জমি তে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। আবার সেই সাথে চালাচ্ছে পুকুরের মাটি বিক্রির ব্যবসা, নষ্ট করছে রাস্তা।

জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’—এমন সরকারি নির্দেশনা ও হাই কোর্টের রিট থাকলেও বাঘা উপজেলার প্রায় প্রতিটি বিলে অবৈধ পুকুর খনন করে ছয়লাপ করেছে অসাধু মৎস চাষী ও পুকুর ব্যাবসয়ীরা। এই পুকুর দস্যুদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যক্তি মালিকানা জমির। এই বিলে শ্রেণিভেদে প্রায় সকল জমিতেই সারা বছর কোনও না কোনও ধরণের ফসল হতো। কিন্তু লোভ দেখিয়ে প্রথমে একটি পুকুর খনন করে।

এরপর থেকে পুকুরের পাশের জমি গুলো পতিত বা অকেজো হয়ে পড়ছে। আর পুকুর খননের কারনে অনেক সমস্যায় পড়ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। আসঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমি।

এলাকা সুত্রে জানাযায়, তেথুলিয়া বাজারের
জামাল নামের এক ব্যক্তি বাউসা ইউনিয়ন এর অচিন তলার বিলে(কামার পাড়া মোরের পশ্চিমে)  পুকুর খননের কাজ করছে রাতের আঁধারে। কোন  নিষেধাজ্ঞা মানছে না জামাল।  পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি জামালের পুকুর খনন, সেই সাথে অবাধে চলছে মাটির ব্যবসা।

তার পর শুরু করে বাঘা এলাকার পুকুর ব্যবসায়ী  জুয়েল হোসেন  তেতুলিয়ার মৃত দুলু সরকারের ৫.৫ বিঘা ফসলী জমি ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে ১০ লক্ষ্য টাকায় ।সেই জমিতে থাকা আমের  গাছ কেটে এবং চার পাশের  গমের আবাদ নষ্ট করে দিনে রাত্রে সমান ভাবে চালাচ্ছে  পুকুুুর খননের কাজ। ১৫ ফিট গভীর করে মাটি উঠানো হচ্ছে এবং সেই মাটি রাত্রে ভাটায় ও সারা দিন বিভিন্ন মাটি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে।

পুকুরের মাটি পরিবহন করার জন্য ফসলী জমি ও আম বাগানের মধ্যে দিয়ে করা হয়েছে রাস্তা। এতে করে ভবিষ্যতে আম বাগান ও হুমকির মুখে পরছে বলে এলাকা বাসীরা জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খনন কারি জামাল উদ্দিন বলেন, আমি সাবেক মেয়রের ভাগ্নি জামাই এবং ডিসি অফিসের অনুমতি আছে। অনুমতি পত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন ভাটা মালিক হাজী আলাউদ্দিন এর কাছে আছে।

আপর পুকুর খননের বিষয়ে পুকুর খননকারি জুয়েল  এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে,তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন, ডি সি অফিসের অনুমতি আছে।সে অনুমতি পত্র দেখতে চাইলে ভাটা মালিক হাজী আলাউদ্দিন এর কাছে সব কাগজ আছে বলে জানান তিনিও।

ইট ভাটা মালিক হাজী আলাউদ্দিন বলেন, আমি আমার ইট ভাটায় মাটি ব্যাবহারের জন্য অনুমতি নিয়েছি। পুকুর বা জায়গাটির মালিক জামাল ও জুয়েল নামের  ব্যাক্তির, আমার না।

ডিসি অফিসের ২০১৮ সালের অনুমতি পত্র ও ২০১৯ সালের গেজেট দেখান সাংবাদিক দের ।যাতে শর্ত দেওয়া আছে (১) কৃষি জমির ক্ষতি করে মাটি উত্তোলন করা যাবেনা, (২) পুকুর বা খাল খনন করে মাটি সংগ্রহ করা যাবেনা।শর্তে অনিয়ম করছেন কেনো প্রশ্নের সতউত্তর  দিতে পারেননি তিনি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান,আমি জানিনা তবে লোকমুখে শুনেছি পুকুর খনন করা হচ্ছে।

বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, পুকুর খনন এর বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এই বিষয়ে বাঘা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বর্তমানে পুকুর খনন করার কোন নিয়ম নাই তাও আবার ফসলি জমিতে এটা হতেই পারেনা। আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। যারা এই অবৈধভাবে পুকুরখনন করছে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।