• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
সদরপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের

ছবিঃ ফরিদপুরের সদরপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

মোঃ সাব্বির হাসান.সদরপুর,ফরিদপুর :ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৭৮টি পরিবারের জন্য পুরোদমে সরকারি খাস জমিতে গৃৃহ নির্মানের কাজ চলছে। অধীর আগ্রহে উপকারভোগীরা সময় পার করছেন কখন তাদের স্বপ্নের গৃহে উঠবে।

“আশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” মুজিববর্ষে সদরপুর উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসন উপহার হিসেবে প্রদত্ত খাস জমিতে গৃহ নির্মানের কাজ করছে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের হাওলাদার ডাঙ্গী গ্রামে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পুর্নবাসন ১০০টি ঘরের নির্মান কাজ দেখতে আসেন। নির্মান কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে গৃহ নির্মান চলছে। আগামী ১৫ই জানুয়ারীর মধ্যে কাজ সম্পূর্ন করে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, গৃহনির্মানের ফলে এ গ্রামটি অন্যরুপে শোভা পাচ্ছে। এছাড়াও অসহায় পরিবারগুলো মাথাগোজার ঠঁাই পাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার বলেন, সদরপুরে ১৭৮টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। ইতোমধ্যে গৃহনির্মানের কাজ প্রায়ই শেষের দিকে। জেলা প্রশাসকের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমি নির্মান কাজ গুলো তদারকি করছি।

ভূমিহীন ও গৃহহীন মোঃ জাবেদ খা বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে সংসার নিয়ে পরের জমিতে থাকতাম। ঘরের জন্য আবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমাদের মত মানুষের কথা চিন্তা করার জন্য ও আমাদের মাথা গোজার ঠাই করে দেওয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, সদরপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি খাস জায়গায় ১৭৮টি গৃহনির্মান প্রকল্পের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিকট থেকে আবেদন জমা পড়ে। তৎপ্রেক্ষিতে আবেদনপত্র যাচাই বাচাই করে উপকারভোগী নির্বাচন করে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রথম পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১লাখ ৭হাজার টাকা। সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে। রান্নাঘর,সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা থাকছে এসব বাড়িতে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।