• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
পদ্মার পানি বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার উপরে

পদ্মায় রাজবাড়ীর অংশে পানি বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নঞ্চালের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জেলার সদর ,গোয়ালন্দ, কালুখালী এবং পাংশা উপজেলার মিজানপুর, বরাট খানগঞ্জ, চন্দনী, দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, ছোটভাকলা, রতনদিয়া, কালিকাপুর, হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর এই ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ বন্যায় প্লাবিত ও পানিবন্ধি রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামগুলো বানের পানিতে ভাসছে। প্রতিটি মানুষের বাড়ির ঘরের চাল ছুই ছুই পানিতে পরিপূর্ণ। এখানে বসবাসরত মানুষ খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন যাপন করছেন। ঘরে নেই খাবার, নেই রান্না করার চুলা, ফসলী মাঠ ভাসছে এখন বানের পানিতে। নষ্ট হচ্ছে ঘর বাড়ি, ধান, পাট ও সবজিসহ সব ধরনের ফসল।

বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটসহ গবাদি পশুর বাসস্থান ও খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দিয়েছে, সেই সঙ্গে সাপের উপদ্রপ রয়েছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের নিয়ে পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছেন। এরই মধ্যে কোন রকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বানভাসিরা।

প্রতিদিন পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কোন রকমে ঘরের মধ্যে মাচা করে রাত যাপন করছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এখনও পর্যন্ত ভুক্তভোগী মানুষ গুলো কনো ধরনের সরকারী সাহায্য বা সহযোগিতা পাননি। প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে আসেননি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ।

এরই মধ্যে কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার গোয়ালন্দ, সদর পাংশা ,বালিয়াকান্দি উপজেলাসমূহে পদ্মা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের সংলগ্ন হওয়ায় ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে শতশত হেক্টর ফসলী জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এসব অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যার পানিতে দুর্ভোগে জীবন যাপন করছে।

গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় পানির ১ সেন্টিমিটার কমেছে। গতকাল শনিবার পদ্মার পানি বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ রোববার তা ১ সেন্টিমিটার কমেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।