ঈদ করা হলোনা রানি বেগমের
মোঃ রমজান শিকদার ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি-১৯/৬/২০২৪
ঈদুল আযহার আনন্দ উপভোগ করা হলো না রানী বেগমের। দেবর দেলোয়ার মোল্লার লালসা শিকার হয়ে এখন সে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নে আরামবাগ চরকান্দা গ্ৰামে। গত ১২ ই জুন বুধবার ভোরে আপন দেবরের হাতে ভাবির শীলতাহানের ঘটনা ঘটেছে। দেবরের দেলোয়ার মোল্লার (৪৬) অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ভাবী রানি বেগম(৪০) গুরুত্বর আহত হয়ে বর্তমানে ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ঈদের দিন ভাঙ্গা থানায় ভাবি রানী বেগম বাদী হয়ে দেবর দেলোয়ার মোল্লাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন ধারায় ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৯/২৩৭। তারিখ -১৭/৬/২০২৪।
হাসপাতালে আহত রানী বেগম বলেন , আমার স্বামী-রাজেক মোল্লা ঘটনার দিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। সে সময় আমিও নামাজ শেষে ঘরের কাজ করতে রান্নাঘরে যাই। চারদিকে নীরবতা থাকার সুযোগে আমার আপন দেবর দেলোয়ার মোল্লা আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে কামড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে আমি বাধা দিলে ও আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও সে মারধর করে পালিয়ে যায়। আমার স্বামীর সাথে তার জায়গা জমি সংক্রান্ত ইতিপূর্বে ঝামেলা আছে তা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার দেন দরবার করে মীমাংসা করেছে। কিন্তু সে মীমাংসার রায় আমার দেবর কখনো মানে নি। সে আমাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার উপর অতর্কিত যৌন আকাঙ্ক্ষা মিটানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করতে পারলাম না। ঈদের দিনই আমাকে উল্টো পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলো। আমি এই দায়ী ব্যক্তির বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ জানায়, ঘটনার পর বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনায় সত্যতা পেয়ে ভাঙ্গা থানায় শিশু ও নারী নির্যাতনের ধারায় মামলা নিয়েছে। আসামি ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ার মোল্লার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনা পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে।