• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বাড়ীর টবে বেগুন চাষ

বেগুন ভাজা, বেগুন ভর্তার প্রতি বাঙালির দুর্বলতা বরাবরই৷ কিন্তু এখন বেগুনের যা দাম তাতে খেতে মন চাইলেও কেনার সাধ্য অনেকেরই নেই৷ কিন্তু আপনি যদি একটু পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার পাতে বেগুনের পদ নিশ্চিত৷ একটা কাজ করুন৷ নিজেই বাড়ির টবে বেগুন চাষ করে ফেলুন৷ ব্যস, তাহলেই দেখবেন আর দামের তোয়াক্কা করতে হচ্ছে না৷ তবে বেগুনে রোগবালাই এবং পোকার আক্রমন যেহেতু বেশী তাই বেগুন চাষে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কীভাবে চাষ করবেন?

১. ছাদে বেগুনের চারা লাগানোর জন্য ১০-১২ ইঞ্চি মাটির টব সংগ্রহ করতে হবে।

২. টবের তলার ছিদ্রগুলো ইঁটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এবার ২ ভাগ এঁটেল দোআঁশ বা পলি দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টি,এস,পি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ সার, একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টব ভরে জলে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন।

৩. তারপর মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে।

৪. যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন বেগুনের চারা ওই টবে রোপন করতে হবে। বিকেল অথবা রাতে চারা লাগাতে পারলে ভাল হয়। চারা গাছটিকে সোজা করে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশি জল না ঢুকতে পারে।

৫. একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর প্রথমদিকে জল কম দিতে হবে। আস্তে আস্তে জল বাড়াতে হবে । লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় জল জমে না ।

৬. টবের মাটি কয়েকদিন পর পর আলগা করে দিতে হবে। যাতে বেগুন গাছে আগাছা জন্মাতে না পারে। সেই সঙ্গে মাটি কিছুটা আলগা করে দিলে গাছের শিকড়ের ভাল বৃদ্ধি হয়। বেগুনের ফল ধরা শুরু করলে সরষের খোল পচা জলে পাতলা করে গাছে ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর নিয়মিত দিতে হবে৷

৭. বেগুনের রোগবালাই এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মাঝে মাঝে বেগুন গাছে ভাল কিটনাশক ও ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বেগুন চাষ করার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন:

১. এটেঁল দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য বেশী উপযোগী। এই মাটিতে বেগুনের ফলন বেশী হয় ।

২. বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা করে পরে তা টব বা ড্রামে রোপণ করতে হবে। ছাদে অল্প সংখ্যক চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা হিসেবে কাঠের বাক্স, প্লাস্টিকের ট্রে, গামলা অথবা হাফ ড্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে

৩. বীজতলার জল যাতে দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. জৈবসার মিশ্রিত বেলে দোআঁশ মাটি দিয়ে বীজতলার পাত্রটি ভরতে হবে। তারপর ওই পাত্রে বেগুনের বীজ বোনা যেতে পারে।

৫. বেগুনের বাগান সাধারণত বিভিন্ন ধরণের রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এসব রোগের অধিকাংশই বীজ বাহিত। তাই বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করে নেওয়া দরকার।

৬. বীজতলায় বীজ বপনের পূর্বে ভাল কোন ছত্রাকনাশক এমনভাবে মেশাতে হবে যাতে সব বেগুনের বীজে ভালভাবে লাগে। তারপর শোধনকৃত বীজ পাঁচ-ছয় ঘন্টা ছায়াতে শুকিয়ে বীজতলায় বপন করতে হবে।

৭. বীজ বোনার পর মাটি হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে এবং চেপে দিতে হবে।

৮. বীজ বপনের একমাস পর বেগুনের চারা ছাদে লাগানোর উপযোগী হয়।

৯. চারা উঠানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে চারার শিকড় যাতে বেশী কাটা না পড়ে এবং শিকড়ের সঙ্গে কিছুটা মাটি থাকে। তবে বীজতলার চারা উঠানোর ১৫-২০ দিন আগেই চারা গাছ লাগানোর কাজটি সেরে নিতে হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।