এম.এ.আজিজ \ (২০ জানুয়ারী/ ১৯ জানুয়ারী)।
ফরিদপুর ল্যাব এইড এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারের সাবেক ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বাবু এক নারী কেলেঙ্কারী মামলায় আদালতে জামিন চেয়ে হাজিরা দিতে এসে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কাগারে প্রেরণ করেছে।
বাবু ল্যাব এইডের ম্যানেজার থাকাবস্থায় সান্তা নামের এক সন্তানের জননীকে চাকুরী দিয়ে তাকে নানাভাবে ফাঁদে ফেলানোর চেষ্ঠা করে। পরে একপযার্য়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনাচারন করে।
এঘটনা নিয়ে বাবু বিবাহ করবে মর্মে লোভ-লালসা দেখায় এবং ভুয়া কাজীর মাধ্যমে সান্তাকে বিয়ে করে এবং শহরের ২/৩টি বাসা বদল করে রেখেও স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে।
এদিকে এক সন্তানের জননী সান্তাকে খুজে না পেয়ে তার পুর্বের স্বামী কোতয়ালী থানায় জিডি করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে তার স্বামী তাকে তালাক প্রদান করে।
মেয়েটি অসহায় অবস্থায় কোন গতি না পেয়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) বরাবর বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আইনী সহায়তা চান।
এদিকে প্রাথমিক তদন্ত করে অভিযোগের বিষয় সত্যতা পাওয়া যায় এবং ফরিদপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
আদালত পিবিআইকে তদন্তের র্নিদেশ দেন। পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দায়ের করলে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাবু আদালতে এসে আত্নসর্মপন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
উল্লেখ গত ২০/০৭/২০ ইং তারিখে সান্তা আদালতে মামলা করেন।যার মামলা নং-২৪৩/২০ এবং পিটিশন নং-১৪৫/২০ইং। এদিকে ওয়ারেন্ট থাকাবস্থায় মামলার বাদিনী সান্তাকে বিভিন্ন লোক মাধ্যম ভয়-ভীতি দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।
এখনও তাকে চাপের মুখে রেখেছে। সান্তা এখন সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।