মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩৩তম স্প্যান ওয়ান-সি। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪ হাজার ৯৫০ মিটার অর্থাৎ প্রায় ৫ কিলোমিটার।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এর আগে ১১ অক্টোবর পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানো হয়।
এর আগে সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানকে বহন করে রওনা দেয় ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনটি।
এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায়।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, পদ্মাসেতুতে বসানো বাকি রয়েছে ৮টি স্প্যান। যা বসবে আরও ৯টি পিলারের ওপর, এগুলো হলো-১, ২, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২।
স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সম্পন্ন প্রস্তুত রয়েছে। যার মধ্যে প্রস্তুত আছে ৪টি ও ২টিতে রঙের কাজ চলছে। সেতুর ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওয়ান-এ স্প্যান, ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর ওয়ান-বি স্প্যান।
এদিকে, প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, সেতুর মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৮৭০টি, ২ হাজার ৯৫৯ রেল স্ল্যাবের মধ্যে ১ হাজার ৪০০টি এবং ৪৩৮টি ভায়াডাক্ট গার্ডারের মধ্যে ১৯৫টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩২টি স্থাপন করা হয়েছে।
অবশিষ্ট ৯টি স্প্যান মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রয়েছে। যার মধ্যে সব কয়টি তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বর এর মধ্যে সব স্প্যান স্থাপন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।