ফরিদপুরের সদরপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের এসিড নিক্ষেপে ৩জন দগ্ধ হয়েছে। এসিড দগ্ধতায় রয়েছেন,গোপাল দাস(৩৫),বাপন দাস(২৮) ও তপন দাস(৩০)।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে অপর পক্ষের রাম কর্মকার ও তার ভাই লক্ষন কর্মকার। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সদরপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের অধিবাসী গোপাল দাস এর সাথে একই এলাকার রাম কর্মকারের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুপক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়।
বিরোধের এক পর্যায় গোপাল দাসের প্রতিপক্ষ রাম কর্মকার ও তার ভাই লক্ষন কর্মকারসহ তাদের লোকজন গোপাল দাসের উপর মারধর করে ও হঠাৎ এসিড নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। দুই পক্ষই পেশায় স্বর্ণের কারিগর ও ব্যবসায়ী। এদের সদরপুর বাজারের স্বর্নের জুয়েলার্স রয়েছে।
এসিডে গুরুতর আহত হয়ে গোপাল দাস,বাপন দাস,তপন দাস তিনজন প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। শারিরিক অবস্থার অবনতি থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতের চোখ,মুখ বিকৃত রয়েছে।
এ ঘটনায় আহতদের গোপাল দাসের চাচা পরিমল দাস বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করছেন। মামলায় পঁাচজন কে আসামী করা হয়েছে। এরা হলেন, রাম কর্মকার,লক্ষন কর্মকার,সুশান্ত কর্মকারসহ মোট পঁাচজন।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. তুহিন আলী জানান,এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তিন আসামীকে ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে। বাকিদের আটকের চেষ্ঠা চলছে।
এ ব্যাপারে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।